• বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:২৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
সাবেক ভূমিমন্ত্রীর বিদেশে ৮ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বগুড়ায় এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানিতে নিয়োগ বানিজ্যের আভাস চট্টগ্রামের প্রথম শহীদ চকরিয়া-পেকুয়ার সন্তান, আমার সন্তান: সালাহউদ্দীন আহমদ : ১৫ বছর ক্ষমতায় আওয়ামী লীগের মতো করলে একই দশা আমাদেরও হবে: ফখরুল বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীকে দুর্বল রাখার চেষ্টা করেছে ভারত ইচ্ছাকৃতভাবে ! ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৮৬৫ ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায়  এককালীন ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত গণঅভ্যুত্থানে শহিদ পরিবার ও আহতদের প্রথম একনেক সভায় ৪ প্রকল্প অনুমোদন অন্তর্বর্তী সরকারের  জানালেন আইন উপদেষ্টা, সেনাবাহিনীকে কেন ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হল যে কারণে জামায়াতের দিকে তাকিয়ে সবাই, কাশ্মীরের নির্বাচন

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন : জাতিসংঘের সঙ্গে চুক্তি করবে মিয়ানমার

Reporter Name / ৪৯২ Time View
Update : শুক্রবার, ১ জুন, ২০১৮

মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে সহযোগিতার জন্য জাতিসংঘের দু’টি সংস্থার সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছে মিয়ানমার। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর ও উন্নয়ন সংস্থা ইউএনডিপির সঙ্গে চুক্তি করবে মিয়ানমার সরকার।

গত বছরের আগস্টে রাখাইনের বেশ কয়েকটি পুলিশ ও সেনা চেকপোস্টে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই অঞ্চলে অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। অভিযানের নামে রোহিঙ্গাদের নির্বিচারে হত্যা, নারীদের ধর্ষণ, ভয়াবহ নির্যাতন ও নিপীড়ন চালায় মিয়ানমারের সেনা সদস্যরা।

সেনাবাহিনীর অত্যাচার-নির্যাতন থেকে বাঁচতে নিজেদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম।

গত নভেম্বরে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারের মধ্যে একটি চুক্তি হয়। কিন্তু ওই চুক্তির পরও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে তেমন কোনো অগ্রগতি চোখে পড়েনি। তাছাড়া নির্যাতনের শিকার পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারাও মিয়ারমারে ফিরে যেতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন।

তাদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক কাজ করছে যে, তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হলে সেখানকার পরিস্থিতি হয়তো আরও ভয়ঙ্কর হতে পারে। মিয়ানমারে নিরাপদ পরিবেশ তৈরি না হলে সেখানে যেতে চান না রোহিঙ্গারা। তাছাড়া আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলোর তদারকি না থাকলে এই প্রক্রিয়া আরও জটিল হতে পারে।

মিয়ানমার সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাস্তুচ্যুত মানুষদের নিরাপদ ও সম্মানের সঙ্গে স্বেচ্ছায় ফিরে আসার প্রক্রিয়া যাচাইয়ে জাতিসংঘের শরণার্থী ও উন্নয়ন বিষয়ক সংস্থার সহযোগিতা পেতে শিগগিরই সমঝোতা স্মারক সই হবে। জাতিসংঘের ওই সংস্থাগুলো রাখাইনে কমিউনিটিভিত্তিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে কর্মসংস্থানে সহায়তা করবে বলে জানানো হয়েছে।

এই সমঝোতা স্মারকের আওতায় স্বেচ্ছায়, নিরাপদে এবং সম্মানের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের নিজেদের দেশে ফিরে যাওয়া এবং প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করতে অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে সহায়তার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জাতিসংঘের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার মতো অনুকূল পরিবেশ নেই। তবে এই চুক্তির মাধ্যমে পরিস্থিতি উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপকে সহায়তা করা হবে। কবে নাগাদ জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর সঙ্গে মিয়ানমারের ওই চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে তা এখনও চূড়ান্ত না হলেও আগামী সপ্তাহেই এটা হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ওপর রোহিঙ্গা নারীদের ধর্ষণ, নির্বিচারে হত্যা, নির্যাতন এবং রোহিঙ্গাদের বাড়ি-ঘরে আগুন দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। জাতিসংঘ এবং যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমার সেনাদের এসব কর্মকাণ্ডকে জাতিগত নিধন বলে উল্লেখ করেছে। তবে মিয়ানমার সেনাবাহিনী বরাবরই এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

এছাড়া মিয়ানমার সরকার প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে বলছে যে, পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের পরিচয়পত্র এবং অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করেই তারা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেবে। কিন্তু যারা জীবন বাঁচাতে পালিয়ে এসেছে তারা বাড়ি-ঘর ছেড়ে আসার সময় কোন কিছুই সাথে করে আনতে পারেননি। তাছাড়া রোহিঙ্গাদের বাড়ি-ঘরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার কারণে তাদের যা কিছু ছিল সবই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এমন অবস্থায় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উপস্থাপন করা কোনভাবেই সম্ভব হবে না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

ফেসবুকে আমরা