অসুস্থ অবস্থায় বৃহস্পতিবার তাকে চট্টগ্রাম শহরের সিএসসিআর হাসপাতালে নেওয়া হলে বেলা পৌনে ১টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে হেফাজতের কেন্দ্রীয় সাঙ্গঠনিক সম্পাদক মীর ইদ্রিস নদভী জানান।
তিনি বলেন, তাদের আমির রাত থেকেই অসুস্থ বোধ করছিলেন। সকালে পরিস্থিতি গুরুতর হলে তাকে হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে চট্টগ্রামের প্রবর্তক মোড় এলাকার ওই হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু বাঁচানো যায়নি।
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রভূমি হাটহাজারীর আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার পরিচালক জুনাইদ বাবুনগরীর বয়স হয়েছিল সত্তরের কাছাকাছি। হৃদরোগসহ বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় তিনি ভুগছিলেন ।
গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর ওই মাদ্রাসার দীর্ঘদিনের মহাপরিচালক এবং হেফাজতে ইসলামের সর্বোচ্চ নেতা আহমদ শফীর মৃত্যুর পর নানা ঘটনাপ্রবাহের মধ্যে সংগঠনের নেতৃত্বে আসেন জুনায়েদ বাবুনগরী।
তার সময়েই গত বছরের শেষ দিকে ভাস্কর্যবিরোধী আন্দোলনে নেমে নতুন করে আলোচনায় আসে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম।
পরে গত ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফর ঘিরে ঢাকা, চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় কয়েক দিন ধরে তাণ্ডব চালায় কট্টর ভাবধারার এ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সেসব ঘটনায় কয়েকটি মামলায় বাবুনগরীকেও আসামি করা হয়।
আহমদ শফীর মৃত্যু ‘স্বাভাবিকভাবে হয়নি’ দাবি করে তার শ্যালকের করা মামলাতেও আসামি ছিলেন জুনাইদ বাবুনগরী। পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে বাবুনগরীসহ ৪৩ জনের ‘দায়’ পাওয়ার কথা বলা হয়েছিল।
বাবুনগরী অবশ্য ওই তদন্ত প্রতিবেদনকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ আখ্যায়িত করে বলেছিলেন, আহমদ শফীর ‘স্বাভাবিক’ মৃত্যু হয়েছে।