গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন পরীমনি । মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় পরীমনিকে গ্রেফতার করা হয়।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুরের মহিলা কারাগার থেকে তিনি বেরিয়ে আসেন। এ সময় কারাফটকে গণমাধ্যম ও শত শত স্থানীয় উৎসুক জনতা ভিড় করে। একটি সাদা হুটখোলা গাড়িতে করে পরীমনিকে কারাগার থেকে আনতে যান তার আইনজীবী ও স্বজনরা।
এ সময় পরীমনি গাড়িতে দাঁড়িয়ে উপস্থিত জনতার উদ্দেশে হাত নাড়েন। কারাগারের নিরাপত্তারক্ষীদের তৎপর দেখা যাচ্ছিল। মুক্তির পর খুবই হাস্যোজ্জ্বল দেখাচ্ছিল চিত্রনায়িকাকে। তার মাথায় সাদা ওড়না পেচানো আর চোখে ছিল রোদচশমা।
গত ৪ আগস্ট রাতে প্রায় ৪ ঘণ্টার অভিযান শেষে বনানীর বাসা থেকে পরীমনি ও তার সহযোগী দীপুকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ সময় পরীমনির বাসা থেকে বিভিন্ন মাদক জব্দ করা হয়। পরদিন ৫ আগস্ট র্যাব-১ বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পরীমনি ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করে।
এই মামলায় ৩ দফায় রিমান্ড শেষে গত ২১ আগস্ট আদালতের নির্দেশে পরীমনিকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরদিন গত ২২ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে পরীমনির জামিন আবেদন করেন আইনজীবী মজিবুর রহমান। পরে আদালত জামিন বিষয়ে শুনানির জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।
১৩ সেপ্টেম্বর জামিন শুনানির দিন ধার্য করার আদালতের সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক দাবি করে গত বুধবার হাইকোর্টে আবেদন করেন পরীমনি। পরদিন বৃহস্পতিবার পরীমনির নিম্ন আদালতে জামিন আবেদন অবিলম্বে শুনানি করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর নিম্ন আদালত জামিন শুনানির যে দিন নির্ধারণ করেছিলেন, তা কেন বাতিল করা হবে না মর্মে রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।