• বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৫৫ অপরাহ্ন

লাইসেন্স ও ফার্মাসিস্ট ছাড়ায় চলছে প্রায় শতাধিক ফার্মেসী

 মোঃআলবিন আনোয়ারা(চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি / ৪৭০ Time View
Update : বুধবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২১

  চট্টগ্রাম আনোয়ারা উপজেলায় ১১টি ইউনিয়নে লাইসেন্স ও ফার্মাসিস্ট ছাড়াই অবাধে চলছে প্রায় শতাধিক ফার্মেসী। ১১টি ইউনিয়নে নিবন্ধন ছাড়া কয়টি ফার্মেসী আছে তার সঠিক হিসাবও দিতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

অভিযোগ উঠেছে এসব ফার্মেসীগুলো করোনা মহামারিকে কেন্দ্র করে নকল, মানহীন, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ গুলো বিক্রয় করেছে চড়া দামে এবং তারা রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের ছাড়পত্র ছাড়াই ক্রেতা চাহিবা মাত্র অথবা রোগীর রোগের বর্ণনা শুনে অনুমান করে দিয়ে দেয় এন্টিবায়োটিক, ঘুমের, যৌন উত্তেজক ওষুধ। এতে করে জনস্বাস্থ্য চরম হুমকিতে পড়ছে। উপজেলায় ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়াগুলোর আশে পাশের ও নিম্ন আয়ের মানুষের চিকিৎসাসেবার অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে লাইসেন্সবিহীন এসব ফার্মেসীগুলো। কোনো ধরণের কেমিস্ট বা ফার্মাসিস্ট না থাকলেও সবধরনের রোগের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মাঝেমধ্যে ছোটখাটো অপারেশন ও করানো হচ্ছে এসব ফার্মেসীগুলোতে। নামপ্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ফার্মেসীর মালিকরা জানান, ড্রাগ লাইসেন্স পাওয়াটা বর্তমানে অনেক কঠিন হয়ে গেছে তাই লাইসেন্স ছাড়াই ওষুধ বিক্রয় করতেছি কোন সময় তো কোনো ধরণের সমস্যা হয়নি এখনও। যদি বেশী সমস্যা হয় তাহলে ঘুষ দিয়ে হলেও লাইসেন্স বানিয়ে নিতে হবে বলে জানান। ১৯৪৬ সালের ড্রাগস রুলস অনুযায়ী এসমস্ত ফার্মেসীগুলোতে ওষুধ মজুদ, প্রদর্শন ও বিক্রয় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আর এভাবে ব্যবসা পরিচালনার জন্য ওষুধ প্রশাসনের উদাসীনতাকে দায়ী করেছেন উপজেলাবাসী। এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা আবু জাহিদ মুহাম্মদ সাইফুউদ্দীন জানান, ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রাণালয়ের পক্ষ থেকে ওষুধ প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে যেসব ফার্মেসীর লাইসেন্স হালনাগাদ নেই তাদের রিনিউ করার সময় দেওয়া হবে। আর যাদের লাইসেন্স নেই কিন্তুু দোকানের মান ভালো তাদের লাইসেন্সের আওতায় আনা হবে। যাদের অবস্থা একেবারেই খারাপ সেসব ফার্মেসী বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমরা এবিষয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছি বলে জানান তিনি। এব্যাপারে আনোয়ারা প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুলনূর চৌধূরী বলেন, প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিকসহ বিভিন্ন ওষুধ সেবনের ফলে রোগীদের মধ্যে এর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব পড়তে পারে তাই মাঝে মাঝে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের পাশাপাশি ওষুধ প্রশাসনের অধিদপ্তরকে নিয়মিত অভিযান চালানোর পরামর্শ দেন তিনি। এব্যাপারে আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (ভূমি) তানভীর হাসান চৌধূরী জানান, উপজেলার আশেপাশে ফার্মেসীগুলোতে নিম্নমানের, মেয়াদোত্তীর্ণ, ওষুধ রাখার অভিযোগে তিনবারে অভিযান পরিচালনা করে প্রায় ১৩টি দোকানদারকে জরিমানা করা হয়। শীঘ্রই উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের ফার্মেসীগুলোতে ওষুধ প্রশাসনের সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে নিশ্চিত করেন তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

ফেসবুকে আমরা