এরই মধ্যে দিয়ে বহুল প্রতীক্ষিত সেই ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগকে নতুন চেহারায় দেখতে পেয়েছেন তৃণমূলের নেতাকর্মী ও সর্মথকরা। এতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন তারা। ৩০ আগস্ট সকাল ১২ টায় আলহাজ্ব মোস্তফিজুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও মেজবান অনুষ্ঠিত হয় । উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব খোরশেদ আলম চৌধুরী। এতে লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন হিরুর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম -৮ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য ও চট্টগ্রাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোসলেম আহমেদ এবং প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব মফিজুর রহমান,। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন দপ্তর সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়া এবং উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনাব আমিনুল ইসলাম আমিন। আরো বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম -১৫ (সাতকানিয়া- লোহাগাড়া ) আসনের সাংসদ সদস্য জনাব প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দীন নদভী , সাতকানিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান এম.এ মোতালেব সিআইপি এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দরাও বক্তব্য দেন । এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয়, জেলা, উপজেলার ও ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ এবং আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অংগসংগঠন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নেতারা বলেন, আজকের শোকসভার আয়োজন জনসভায় পরিনত হয়েছে। তাঁরা ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালের বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর স্মৃতি চারণ করে বিভিন্ন কথা নেতা কর্মীর উদ্দেশ্য বলেন। আপনার জানেন আগস্ট মাস বাঙালি জাতির শোকের মাস।কারন বাঙালি মুক্তির মহানায়ক শেখ মুজিবুর রহমানকে কিছু কতিপয় বিপথগামী সেনা সদস্যর হাতে নির্মমভাবে স্বপরিবারে নিহত হন। আমরা জানি বঙ্গবন্ধুর হত্যা কারবালার ইমাম হোসেনের মৃত্যুকেও হার মানিয়েছে। অথচ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মানুষটি জীবনে যা কিছু করেছেন সব দেশের জন্য করেছেন।তার প্রত্যেকটা পদক্ষেপ ছিল দেশের স্বার্থে। কিন্তুু বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করার পরেও স্বাধীনতা বিরোধিরা এদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় পূর্ণবাসিত হতে থাকে।এমনকি তারা এদেশের ইতিহাস বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলতে নানান পায়তারা করে।কিন্তু দীর্ঘ অনেক বছর বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নের্তৃত্বে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আস্বীন হলে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ উম্মুক্ত হয় এবং অবশেষে বেশি সময় পর সেই কলঙ্ক থেকে জাতি মুক্তি পায় যখন চূড়ান্ত রায়ে ৫ জনকে ফাঁসির রায় কার্যকর হয়। তাছাড়া আরো বলেন এই শোকসভা করা মানে কাউকে দলীয় শক্তি প্রদর্শন করা নই। বঙ্গবন্ধুর ৪৬ তম শাহাদাত বার্ষিকী শোকসভা উপলক্ষে আমরা সবাই শপথ নিচ্ছি লোহাগাড়ায় ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনাকে উপহার দেব।এমনকি এখন থেকে ঐক্যবদ্ধ থেকে দলকে সুসংগঠিত করাসহ আগামীতে কেন্দ্রীয় যে কোন নির্দেশনা মেনে চলব। প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম -৮ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য ও চট্টগ্রাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোসলেম আহমেদ শোক সভায় বলেন,স্ব-পরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে আওয়ামীলীগকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল নরপশু ঘাতক দল।তাছাড়া আমাদের মধ্যে কোন ধরনের অনৈক্য নেই এখন। অতএব দলের ভেতর যারা অনৈক্য সৃষ্টি করবে তাদেরকে চিহ্নিত করা হবে। আমাদের মধ্যে সামন্য ভুল বোঝাবুঝি এখন থেকে আর নেই। সেজন্য আমি সবার কাছে দলের পক্ষে হয়ে কাজ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। চট্টগ্রাম -১৫ (সাতকানিয়া- লোহাগাড়া ) আসনের সাংসদ সদস্য জনাব প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দীন নদভী বলেন , লোহাগাড়া নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগকে পরাজিত করার মতো কোন রাজনৈতিক শক্তি শুধু লোহাগাড়াতে নই দেশেও নেই বলেন।তাই আগামীতে কেন্দ্র থেকে সাতকানিয়া -লোহাগাড়াতে যাকে নমিশন তাঁর পক্ষে হয়ে আমি কাজ করব। লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব খোরশেদ আলম চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনার প্রত্যেক কর্মীই সমান গুরুত্বপুর্ন। তৃণমূল ছাড়া আওয়ামী লীগের গতি নেই। আওয়ামী লীগ তৃনমূল নির্ভর দল। তাই শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী লক্ষ্য তৃণমূলকে শক্তিশালী করার বিকল্প নেই।