• বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ০৩:৫১ অপরাহ্ন
শিরোনাম
ইলেকট্রিক গাড়ির বাজারে অযৌক্তিক প্রতিযোগিতা ঠেকাতে কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে চীন মুনাফা কমলেও ঘুরে দাঁড়িয়েছে ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স পুলিশের শতাধিক সাব-ইন্সপেক্টরকে পদোন্নতি গোপালগঞ্জের সংঘর্ষ নিয়ে ভুয়া তথ্য ছড়াচ্ছে আওয়ামী লীগ : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং গোপালগঞ্জের সহিংস ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার দেশেরসাব-রেজিস্ট্রি অফিস ভূমি মন্ত্রণালয় গ্রহণে প্রস্তুত: ভূমি উপদেষ্টা কর্মসূচিকে ঘিরে ব্যাপক সংঘর্ষ, সারাদেশে নিহত ৩১ , ১৮ জুলাই : ‘কমপ্লিট শাটডাউন’  কিশোরগঞ্জের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রেল যোগাযোগের উন্নয়নে দরকার দীর্ঘমেয়াদি ও সমন্বিত মহাপরিকল্পনা: ড. শেখ মইনউদ্দিন গোপালগঞ্জের সংঘর্ষ নিয়ে ভুয়া তথ্য ছড়াচ্ছে আওয়ামী লীগ : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

আর কেউ যেন পরীমনিকে মিসগাইড না করে: কাজী হায়াৎ

বিনোদন ডেস্ক: / ৪০৫ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২১

পরীমনিকে গ্রেপ্তারের পর চলচ্চিত্র অঙ্গনের প্রায় সব সংগঠনই যখন বলতে গেলে প্রায় চুপ ছিল, তখন তাঁর হয়ে প্রথম মুখ খুলেছিলেন কাজী হায়াৎ।

আলোচিত এই নায়িকার জামিনের খবর শুনে তাঁকে এবার কিছু পরামর্শও দিয়ে রাখলেন বয়োজ্যেষ্ঠ এই চলচ্চিত্র পরিচালক। কাজী হায়াৎ বলেন, ‘পরীমনিকে এখন দেখেশুনে পথ চলতে হবে। আমাদের দেশ তো পুরুষশাসিত। তাই অনুরোধ, দেখেশুনে যেন চলাফেরা করে। জীবনের অনেক সময় আছে। এখনো অনেক দেখার বিষয় আছে। দেখেশুনে যদি চলতে পারে, তাহলে ওর ভবিষ্যৎ অনেক ভালো।’ পরীমনি অনেক সম্ভাবনাময় উল্লেখ করে কাজী হায়াৎ বলেন, ‘পরিচালক-প্রযোজক সবারই উচিত, পরীমনির জন্য সুন্দর কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা। সবার প্রতি আমার অনুরোধ, যারা তাঁকে নিয়ে কাজ করবে, তারা যেন ওকে সঠিকভাবে গাইডও করে। আর কেউ যেন পরীমনিকে মিসগাইড না করে। আমি তো আগে চিনতাম না, গ্রেপ্তারের পর চারদিক থেকে যতটা শুনেছি, মেয়েটি এমনিতে ভালো, শিল্পমনা। আমি এমনও শুনেছি, মেয়েটি প্রচÐ হৃদয়বান। আমাদের দেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে এমন হৃদয়বান মেয়ে আগে আসেনি। মেয়েটি খুব দানশীল। আমার দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় শুধু বলতে চাই, পরীমনিকে সঠিক গাইডেন্স দিয়ে ধরে রাখতে পারলে চলচ্চিত্রও উপকৃত হবে, পরীমনির জীবনও ভালো হবে।’ কথায় কথায় কাজী হায়াৎ জানালেন, পরীমনিকেও তাঁর আশপাশের মানুষকে চিনতে হবে। কারা তাঁর প্রিয়জন, আর কারা শুধুই প্রয়োজন। ওর মধ্যে শিল্পীসত্তা আছে। শিল্পীসত্তাকে বাঁচিয়ে রেখে গাইড করলে পরীমনিও ভালো করবে। গ্রেপ্তারের পর প্রথম আলোতে প্রকাশিত এক লেখায় কাজী হায়াৎ বলেছিলেন, ‘পরীমনির সৌন্দর্যই পরীমনির শত্রু। এ কারণেই বেশির ভাগ মানুষ তাঁর সান্নিধ্যে গেছেন, যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। কাছে যাওয়া এসব মানুষই তাঁকে বিপথে ঠেলে দিয়েছেন। শুধু সৌন্দর্যে আকৃষ্ট হয়ে যাঁরা তাঁর কাছে গিয়েছেন, তাঁরা তাঁকে সুন্দর পথের সন্ধান দেননি। আমি কোনো দিন পরীমনিকে কাছ থেকে দেখিনি। ইদানীং নানা মাধ্যমে তাঁকে দেখার সুযোগ হচ্ছে। এত সুন্দরী মেয়ে অনেক দিন বাংলা সিনেমায় আসেনি। আসলেই তিনি পরি। সেই সৌন্দর্যে আকৃষ্ট হয়ে যাঁরা তাঁর কাছে ভিড়েছেন, তাঁরাই পরীমনিকে বিপথে নিয়ে গেছেন। তাঁরা পরীমনির সৌন্দর্যকে শিল্পসৃষ্টির কাজে লাগাননি।’ কাজী হায়াৎ এ-ও বলেছিলেন, ‘পরীমনি ছিলেন অভিভাবকহীন। এ সুযোগও অনেকে নিয়েছেন। অনেকে হয়তো বলবেন, শুধু কি অন্যরাই বিপথে নেওয়ার জন্য দায়ী? তাঁরও কি বিচার-বিবেচনা থাকা উচিত ছিল না? আমি বলব, জোর গলায় বলব, যে বয়সে পরীমনি চলচ্চিত্রে এসেছেন, সে বয়সে বিচার-বিবেচনা সবার থাকে না। বয়সটাই আসলে এমন। যাঁরা তাঁর পাশে ছিলেন, তাঁদের দায়িত্ব ছিল সঠিকভাবে তাঁকে পরামর্শ দেওয়া। গ্রামের সহজ-সরল সেই স্মৃতিকে কারা এ রকম পরীমনি বানিয়েছেন? যাঁরা করেছেন, তাঁরা আজ কোথায়? তাঁদের নাম তো কোথাও শোনা যাচ্ছে না। তাঁদের তো হাত বেঁধে নিয়ে যাচ্ছে না পুলিশ!’ গ্রেপ্তারের পর প্রথম আলোতে প্রকাশিত এক লেখায় কাজী হায়াৎ বলেছিলেন, ‘পরীমনির সৌন্দর্যই পরীমনির শত্রু। এ কারণেই বেশির ভাগ মানুষ তাঁর সান্নিধ্যে গেছেন, যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। কাছে যাওয়া এসব মানুষই তাঁকে বিপথে ঠেলে দিয়েছেন। শুধু সৌন্দর্যে আকৃষ্ট হয়ে যাঁরা তাঁর কাছে গিয়েছেন, তাঁরা তাঁকে সুন্দর পথের সন্ধান দেননি। আমি কোনো দিন পরীমনিকে কাছ থেকে দেখিনি। ইদানীং নানা মাধ্যমে তাঁকে দেখার সুযোগ হচ্ছে। এত সুন্দরী মেয়ে অনেক দিন বাংলা সিনেমায় আসেনি। আসলেই তিনি পরি। সেই সৌন্দর্যে আকৃষ্ট হয়ে যাঁরা তাঁর কাছে ভিড়েছেন, তাঁরাই পরীমনিকে বিপথে নিয়ে গেছেন। তাঁরা পরীমনির সৌন্দর্যকে শিল্পসৃষ্টির কাজে লাগাননি।’ কাজী হায়াৎ এ-ও বলেছিলেন, ‘পরীমনি ছিলেন অভিভাবকহীন। এ সুযোগও অনেকে নিয়েছেন। অনেকে হয়তো বলবেন, শুধু কি অন্যরাই বিপথে নেওয়ার জন্য দায়ী? তাঁরও কি বিচার-বিবেচনা থাকা উচিত ছিল না? আমি বলব, জোর গলায় বলব, যে বয়সে পরীমনি চলচ্চিত্রে এসেছেন, সে বয়সে বিচার-বিবেচনা সবার থাকে না। বয়সটাই আসলে এমন। যাঁরা তাঁর পাশে ছিলেন, তাঁদের দায়িত্ব ছিল সঠিকভাবে তাঁকে পরামর্শ দেওয়া। গ্রামের সহজ-সরল সেই স্মৃতিকে কারা এ রকম পরীমনি বানিয়েছেন? যাঁরা করেছেন, তাঁরা আজ কোথায়? তাঁদের নাম তো কোথাও শোনা যাচ্ছে না। তাঁদের তো হাত বেঁধে নিয়ে যাচ্ছে না পুলিশ!’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

ফেসবুকে আমরা