গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে গেছে কয়েকটি নদী। রাত নেমে এলেই উপজেলার বিভিন্ন নদীতে চলে বালুবাহী ট্রলারের রামরাজত্ব। শ্রীপুর-বরমী সড়কটি সংস্কারের অভাবে বেশ কয়েক বছর যাবৎ যান চলাচল বন্ধ থাকায় বালু ব্যবসায়ীরা বরমীর শীতলক্ষ্যা, বানার ও কাওরাইদ এলাকার খিরু নদী ব্যবহার করে বালু নিয়ে পার্শ্ববর্তী ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় যাওয়া-আসা করে। এ সময় রাতে বেলায় অসাবধানতা বশত বালুবাহী ট্রলারের ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কাওরাইদ বাজার সংলগ্ন খিরু নদীর উপর কাওরাইদ-গয়েশপুর সেতু, সোনাব ত্রিমোহনী এলাকায় একটি রাবার ড্রাম ব্রিজ ও ঢাকা-ময়মনসিংহ-জামালপুর রেল সড়কের কাওরাইদ রেল ব্রিজের পিলার। এভাবে চলতে থাকলে খুব শিগগিরই ঝুঁকিপূর্ণের তালিকায় স্থান হবে ব্রিজগুলোর।
উপজেলার কাওরাইদ বাজারে ব্যবসায়ী ফিরোজ খান জানান, সরকার জনগণের যাতায়াতের সুবিধার্থে কাওরাইদ বাজারসহ পার্শ্ববর্তী অন্য একটি স্থানে গফরগাঁওয়ের সঙ্গে যোগসূত্র স্থাপনে দীর্ঘদিন আগে যান চলাচলের জন্য দুটি ও ঢাকা-ময়মনসিংহ-জামালপুর রেল সড়কের কাওরাইদ রেল ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। কিন্তু বর্তমানে বালুবাহী ট্রলারের আঘাতে প্রতিনিয়ত ব্রিজের পিলারগুলো ক্ষতিস্থ হচ্ছে। এখনই যদি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া না হয় তাহলে খুব শিগগিরই ব্রিজগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়বে।
স্থানীয়রা জানান, খিরু নদীতে বালুবাহী ট্রলারের ফলে প্রতিনিয়ত ঝুঁকিতে পড়ছে ব্রিজগুলো। ট্রলারের ধাক্কায় ব্রিজের পিলারগুলো অনেকবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে বালু ব্যবসায়ীরা ব্রিজের ক্ষতিগ্রস্থ পিলারের স্থানে সিমেন্ট ও বালু দিয়ে আস্তর লেপে দিয়ে সাময়িক একটা ব্যবস্থা নিলেও এর স্থায়িত্ব খুবই কম। তাই ক্ষতিগ্রস্থ ব্রিজগুলো রক্ষার্থে এলাকাবাসীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে খিরু নদীতে বালুবাহী ট্রলার চলাচল বন্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলেছে।
ব্রিজ সংলগ্ন চা দোকানী আমির আলীর ভাষ্য, সারা রাতই এ নদীতে বালুবাহী ট্রলার চলাচল করে থাকে। মাঝে মধ্যে এমনভাবে পিলারে সঙ্গে ধাক্কা লাগে অনেক দূর থেকেও তার শব্দ শোনা যায়।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও তরিকুল ইসলাম জানান, বিষয়টি পূর্বে আমাকে কেউ অবহিত করেনি। তবে আমি খোঁজ নিয়ে এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।