বৃহস্পতিবার স্কুলে ফেরার পর তারা করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রুখতে জারি করা কঠোর আইন মেনে স্কুলমাঠে পরস্পর থেকে দূরত্ব রেখে দাঁড়িয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এ দিন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর শহর মার্সেইয়ের একটি স্কুল পরিদর্শন করেন। এ সসময় ছাত্রছাত্রীদের কোভিড-১৯ বিধিনিষেধ মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।
এক টুইটার ভিডিওতে ম্যাক্রোঁ বলেছেন, “স্বাভাবিক সময়ের মতো ‘স্কুলে ফেরা’ সম্ভব করতে যা করা দরকার সরকার করছে।”
তারপরও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়েছে বলে মনে করেন প্যারিসের কেন্দ্রীয় অঞ্চলের রদ্যা হাই স্কুলের উপপরিচালক ম্যাথিউ সুগিয়া।
“এটি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক আলাদা,” মন্তব্য করে তিনি জানান, এখন অনেক ধরনের সুরক্ষা ব্যবস্থা অনুসরণ করতে হচ্ছে যেমন, ক্লাসরুমগুলোতে বায়ু পরিশোধক ব্যবহারের পাশাপাশি কোনো শিক্ষার্থী যদি তাদেরটা আনতে ভুলে যায় তারজন্য অতিরিক্ত মাস্ক রাখতে হচ্ছে।
ফ্রান্সে এখন ১২ বছর বয়স থেকে শিশুরা টিকা নিতে পারছে আর এই বয়সী শিক্ষার্থীদের তাদের ডোজ নিয়ে নেওয়ার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে। সুগিয়ার ধারণা, তার স্কুলও একটি টিকা কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে। টুইটারে ম্যাক্রোঁ জানিয়েছেন, প্রতি পাঁচ জন কিশোর বয়সীর মধ্যে তিন জন ইতোমধ্যে তাদের ডোজ পেয়েছে।
মার্সাইতে ম্যাক্রোঁ ক্লাসরুমে শিশুদের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের একজন প্রেসিডেন্টকে জিজ্ঞেস করে, কোভিড-১৯ এর নাকের সোয়াব যদি মস্তিষ্কে চলে যায় তাহলে কী হবে, আরেকজন ম্যাক্রোঁ কত আয় করেন তা জানতে চায়। করোনাভাইরাস মহামারীর চতুর্থ ঢেউ চললেও ফ্রান্সে কোভিড-১৯ এর গড় দৈনিক সংক্রমণের হার ধীর হয়েছে।
মঙ্গলবার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ২০২২ সালের প্রথম দিকের মধ্যেই প্রায় এক কোটি ৮০ লাখ লোককে করোনাভাইরাস টিকার তৃতীয় ডোজ দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে সরকার।