বুরো বাংলাদেশ ক্ষুদ্র অর্থায়নের মাধ্যমে লাখ লাখ ক্ষুদ্র ও মাঝারি পর্যায়ের উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। যে সকল দরিদ্র ও হতদরিদ্র মানুষ অনাহারে অর্ধাহারে মানবেতর জীবন যাপন করতো দেশের এম এফ আই সমূহ শুরুতে তাদের ২/৫/১০ হাজার টাকা ক্ষুদ্রঋণ দিয়ে আত্মকর্মসংস্হানের ব্যবস্থা করে। ইতোমধ্যে তাদের এক বিশাল অংশ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হিসেবে উঠে আসতে সক্ষম হয়েছেন। যারা শুরুতে মাত্র ৫ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে শুরু করেছিলেন তাদের অনেকেই এখন ৫/১০ লাখ টাকা নিয়ে বিভিন্ন ব্যাবসা ও ক্ষুদ্র আকারের শিল্প স্থাপন করেছেন। আত্মকর্মসংস্হান থেকে গ্রাম পর্যায়ে সৃষ্টি হয়েছে কোটি কোটি কর্মসংস্থানের। যে নারী দুবেলা দুমুঠো অন্নের সংস্হান করতেই হিমশিম খেতো,সন্তানের ভবিষ্যত ছিল অনিশ্চিত তারা এখন ভাল জীবন যাপন করছে। অর্থাৎ এমএফআই খাত কর্মহীন কোটি কোটি সাহায্য প্রার্থী হাতকে কর্মীর হাতে পরিণত করেছে। দেশের স্থিতিশীল অর্থনৈতিক উন্নয়নের পেছনে এনজিও ও এম এফ আই দের ভূমিকা ও অবদান অনেক। শুধু ক্ষুদ্র অর্থায়নই নয়,উন্নয়ন সংগঠনগুলো শিক্ষা ,স্বাস্থ্য উন্নত স্যানিটেশন ,বিশুদ্ধ পানীয় ও নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধিতে ব্যপক অবদান রাখছে।জনসচেতনতা সৃষ্টি ও উন্নত জীবন ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও এনজিওদের কার্যক্রম প্রশংসনীয়। উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালে দেশে দরিদ্র ও হতদরিদ্রের হার ছিল ৮০%। বর্তমানে এই হার ২২% এ নেমে এসেছে। এক্ষেত্রে এনজিওরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। উন্নয়ন ব্যক্তিত্ব জাকির হোসেন অত্যন্ত আত্ম প্রত্যয়ী ও অধ্যবসায়ী এক মানবিক ব্যক্তিত্ব। মানব কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ জাকির হোসেন বুরো বাংলাদেশের মাধ্যমে দেশব্যাপী করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র কর্মহীন মানুষদের খাদ্য ও আর্থিক সহযোগিতার পাশাশাশি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ৫ টি কার্ডিয়াক মনিটর প্রদান করেছেন। জাকির হোসেন প্রচুর জনকল্যান মূলক কাজ করলেও প্রচার বিমুখ।আল্লাহ উনাকে সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু দান করুন ।