ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের ভলান্টিয়ার সুজনসহ তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে নারী পাচারের অভিযোগ উঠেছে। আর তাদের মদদ দেয়ার অভিযোগ তুলেছেন ওই হাসপাতালের ডা. সাকিব ইবনে আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে।
রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে বালিয়াডাঙ্গী সড়কের মথুরাপুর নামক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ভলান্টিয়ার সূজন (৩২) সদর উপজেলার জামাপুর ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামের জাপান মিয়ার ছেলে।
ভূক্তভোগীরা জানায় ওই ভিকটিম বালিয়াডাঙ্গী রোডে পল্লী বিদ্যুৎ বাজারে একজন হোটেল শ্রমিকের কাজ করে আসছেন। সে প্রতিদিনের ন্যায় সকালে কাজে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে প্রধান সড়কে দাঁড়ান। এমন সময় ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের ভলান্টিয়ার সুজন রাস্তায় ভিকটিমকে একাই পেয়ে মোটরসাইকেলে তুলে নেয়। কিছুদুর যাওয়ার পরে অটো চার্জারে থাকা ৪ জন লোক ভিকটিমকে জোরপূর্বক চার্জারে তোলে, পরে সে চিৎকার করলে তাকে ধাক্কা দিয়ে সড়কে ফেলে পালিয়ে যায়। এতে ভিকটিম জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। গুরুতর অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। কিন্তু হাসপাতালের জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত ডা. সাকিব ইবনে আব্দুল্লাহ ভর্তি নিতে গড়িমসি করে।
পরে থানায় গেলে থানা পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দেন। ভিকটিমের স্বজনরা আরো অভিযোগ করে বলেন আমারা হাসপাতালে তিন তিনবার গেলেও ডাক্তার আমাদের ভর্তি না করিয়ে দূরব্যবহার করে।
পরে বিষয়টি নিয়ে ঠাকুরগাঁও রিপোর্টার্স ইউনিটি’র সভাপতি এমদাদুল ইসলাম ভূট্টো ওই চিকিৎসককের কাছে ভিকটিমকে ভর্তির বিষয়টি জানতে চাইলে উল্টো দূরব্যবহার করে এবং ভিকটিমের স্বজনদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলে জানান তিনি।
ঠাকুরগাঁও শহরের সরকারপাড়া মহল্লার বাসিন্দা এস এম মোক্তাদেরুজ্জামান রাসেল বলেন এরা ডাক্তার নামের কলঙ্ক। এরা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষূন্ন করে জামাত শিবিরের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন ওই ডাক্তার ইতিপূর্বে আমার এক স্বজনের সাথেও দূরব্যবহার করেছিল।
ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসাপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রকিবুল আলম চয়ন বলেন বিষয়টি ভূল বুঝাবুঝি। তবে ভলান্টিয়ার সুজন হাসপাতালে এলেও সকাল থেকে পাওয়া যাচ্ছিল না। তদন্তপূর্বক তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।