চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থানাধীন ছোট শলুয়া গ্রামের মোঃ লিটন মিয়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে নিজের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরে পুলিশ সুপার মোঃ জাহিদুল ইসলাম কে জানান যে, তার ব্যবহৃত Redmi Note-9 মোবাইল ফোনটি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল রোডস্থ মেস থেকে সরকারি কলেজে যাওয়ার পথিমধ্যে হারাইয়া যায়। করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় মোবাইল ফোনটি হারিয়ে অনলাইনে অ্যাসাইনমেন্ট ও ক্লাসে অংশগ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না। পিতার আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে পুনরায় মোবাইল ফোন ক্রয় করে দেওয়ার সামর্থ্যও নাই। যার দরুন লেখাপড়ায় চরম ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গার মানবিক পুলিশ সুপার খ্যাত জনাব মোঃ জাহিদুল ইসলাম তাৎক্ষণিকভাবে মোবাইল ফোনটি উদ্ধারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা গোয়েন্দা শাখা, চুয়াডাঙ্গায় কর্মরত এএসআই (নিঃ) মোঃ রজিবুল হক কে নির্দেশ প্রদান করেন। পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম এঁর নির্দেশে এএসআই রজিবুল হক তথ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে জানতে পারেন হারানো মোবাইল সেটটি যশোর জেলার মনিরামপুর থানায় এলাকায় ব্যবহৃত হচ্ছে। যশোর জেলা পুলিশে কর্মরত এসআই ইবনে খালিদ এর সহযোগীতায় হারানো মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করে পুলিশ সুপারের নির্দেশে প্রকৃত মালিকের হাতে তুলে দেন। হারানো মোবাইলের প্রকৃত মালিক মোবাইল ফোনটি হারানোর পরে পাওয়ার আশা এক প্রকার ছেড়েই দিয়েছিল। সখ ও প্রয়োজনীয় মোবাইল ফোনটি পুনরায় পুলিশ সুপার মহোদয়ের আন্তরিক চেস্টায় ফিরে পেয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। সল্প সময়ে হারানো মোবাইল ফোনটি ফিরে পেয়ে পুলিশ সুপার জনাব মোঃ জাহিদুল ইসলাম ও এএসআই মোঃ রজিবুল হক সহ চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ তথা বাংলাদেশ পুলিশের প্রতি দোয়া ও কৃতঘ্নতা প্রকাশ করেন।