এ লক্ষ্যে নির্বাচনী ইশতেহার আপডেট করতে উপ-কমিটিগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও চক্রান্ত বাড়ছে বলেও সভায় সকলকে সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ বিষয়ে তিনি সকলকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বলেও ওবায়দুল কাদের জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সকাল সাড়ে ১০টা থেকে প্রায় সাড়ে তিনটা পর্যন্ত লম্বা বৈঠক হয়েছে। এতে ফোকাসটা ছিল সাংগঠনিক এবং পরবর্তী নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়। নির্বাচনের প্রস্তুতির লক্ষে্য আমাদের অর্থনৈতিক নীতিমালা প্রণয়ন এবং বিভিন্ন বিভাগকে সেমিনারের মাধ্যমে যেমন স্বাস্থ্য, শিক্ষা এগুলোর সেমিনারের মাধ্যমে আমাদের পরবর্তী যে নির্বাচনী ইশতেহার হবে, সেই ইশতেহারে যে বিষয়গুলো থাকবে সেগুলো আপডেট করার জন্য উপকমিটিগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উপকমিটির কয়েকজন সদস্য সচিবের বক্তব্যও শুনেছেন দলের সভাপতি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, এলাকার ইউনিয়ন, ওয়ার্ড পর্যন্ত রিপোর্ট আমাদের নেত্রীর সামনে উপস্থাপন করেছেন এবং জানিয়েছেন প্রকৃত অবস্থা। যেখানে যেখানে যে যে সমাধান করা দরকার সেগুলোর বিষয়ে তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন। কিছু কিছু ছোট কলহ বিবাদ রয়েছে সেগুলোও সমাধান করার নির্দেশ তিনি দিয়েছেন। পাবনা পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে ওখানে অনেকে বিদ্রোহ করেছিল। তারা ক্ষমা চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন নেত্রীর বরাবর। তাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছেন নেত্রী।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আরেকটা বিষয় নেত্রী বলেছেন অপপ্রচার এবং চক্রান্ত চলছে সরকারের বিরুদ্ধে। যতই নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে ততই অপপ্রচারের মাত্রা বাড়ছে। এসব অপপ্রচারের জবাব দিতে হবে, চক্রান্তমূলক তৎপরতার বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করতে হবে।