• সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:২৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম
বিআরডিবি কুমিল্লা জেলা সিবিএ’র নির্বাচন অনুষ্ঠিত সংস্কার ও নির্বাচনের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই: ফখরুল জাহানারা ইসলাম ইন্তেকালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের শোক প্রকাশ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেছেন নবীন উদ্যোক্তারা শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার করা হবে : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা বাবদ ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার এনজিএস সিমেন্ট কোম্পানির ছত্র ছায়ায় এয়ার মোহাম্মদের বিরুদ্ধে জোরপুর্বক জমি দখলের অভিযোগ : আমি আমার জন্য ভোট চাইতে আসিনি আমি ধানের শীষ মার্কায় ভোট চাইতে এসেছি–মোবাশ্বের আলম ভুঁইয়া আওয়ামী সরকার আমলে মানুষের অধিকার হরণ হয়েছিল, গণতন্ত্র ধ্বংস হয়েছিল- ওয়াকিল হোসেন (বগা) চকরিয়ায় স্বামীর ছুরিকাঘাতে স্ত্রীর মৃত্যু, মুমূর্ষু অবস্থায় শাশুড়ি

তালেবানি শাসনে সন্তান হারানোর ঝুঁকিতে আফগান একাকী মায়েরা

Reporter Name / ৪৫৬ Time View
Update : রবিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১

আফগানিস্তানের বালখ প্রদেশের রাজধানী মাজার-ই-শরিফ গত ১৪ আগস্ট তালেবানের দখলে চলে যায়। তারপর রায়হানার (নাম পরিবর্তিত) ছয় বছরের মেয়েকে নিতে এসেছিল তারা।

জানা গেছে, গত বছর তালেবানের হাতে নিহত হয়েছে রায়হানার স্বামী। তার পর থেকে মেয়েকে একাকী মা হিসেবে বড় করছেন রায়হানা।

স্বামী নিহত হওয়ার পর মেয়েকে একাকী মা হিসেবে লালন-পালন করার জন্য শ্বশুরবাড়ির লোকের বিরুদ্ধে আইনিভাবে লড়তে হয়েছে রায়হানাকে।

আফগান নাগরিক আইনের অধীনে তার অধিকারের জন্য ধন্যবাদ দিয়েছেন রায়হানা। কারণ, আফগান আইনে একাকী নারীরা তাদের সন্তানদের নিজের কাছে রাখতে পারতেন, যদি তারা সন্তানের জন্য আর্থিক ব্যবস্থা করতে পারেন।

বর্তমানে রায়হানার শহর তালেবানের দখলে। আর নিজের মেয়েকে হারানোর শঙ্কাও তৈরি হয়েছে। এবার তার পাশে কেউই নেই।

রায়হানা সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানকে বলেছেন, যেদিন মাজার-ই-শরিফ তালেবান দখলে নিল, আমার দেবর আমার বাবার বাড়ির পাশে তালেবানদের সঙ্গে শোডাউন দিয়েছে। আর আমি সেখানেই থাকি।

তবে ওই দিন ওই সময় রায়হানা আর তার মেয়ে বাড়িতে ছিলেন না। বিষয়টি জানতে পেরেই মেয়েকে নিয়ে তিনি অন্যত্র চলে যান।

রায়হানা বলেন, তারা আমার কাছ থেকে মেয়েকে কেড়ে নিতে চায়। আমরা একটি ট্রাকে ময়দার বস্তায় লুকিয়ে ছিলাম। যখন চালক আমাদের খুঁজে পায়, তখন আমরা তাকে কাবুল নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করি।

কাবুলে এসে বিভিন্ন দূতাবাসে সাহায্যের আবেদন করেন রায়হানা। একপর্যায়ে তার বোন যিনি ব্রিটেনে থাকেন, তিনি আফগানিস্তান থেকে রায়হানা ও তার মেয়েকে একটি ফ্লাইটে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। বর্তমানে তারা ম্যানচেস্টারে আছেন।

রায়হানা বলেন, কঠোর প্রচেষ্টার পর আমি আফগানিস্তান থেকে বের হতে পেরেছি। আমি খুবই আনন্দিত যে, আমার মেয়ে আমার সঙ্গে আছে। ব্রিটিশ সরকারকে অনেক ধন্যবাদ।

আফগানিস্তানে একাকী মায়ের জীবন সব সময় কলঙ্ক, দারিদ্র্য এবং প্রান্তিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর এখন তালেবানদের নিয়ন্ত্রণে সেসব নারী নিজেদের সুরক্ষা হারিয়ে ফেলেছে এবং তাদের পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হয়ে যাচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

ফেসবুকে আমরা