এটিএম বুথের সামনে দিন-রাত মানুষের অপেক্ষা, কখন টাকা ঢুকবে মেশিনে। অর্থের অভাবে মানুষ জীবন বাঁচানোর জন্য ঘরের আসবাবপত্র পর্যন্ত বিক্রি করছেন।
কাবুলের রাস্তায় অনেক স্থানেই দেখা যাচ্ছে, ঘরের আসবাবপত্র নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছেন নাগরিকরা। এদের মধ্যে একজন শুকরুল্লাহ। তিনি চারটি কার্পেট নিয়ে এসেছেন। চামোন-হজোরির পুরোটা এলাকাতেই বালিশ, কুশন, ফ্যান, কম্বল, সিলভারওয়্যার, কারটেইনস, বিছানা, ম্যাট্রেস, কুকওয়্যার, শেলভস এবং আরও অনেক জিনিসপত্র পড়ে আছে। শুকরুল্লাহ বলেন, আমি চারটি কার্পেট কিনেছিলাম ৫৫৬ ডলারে। কিন্তু এখন বিক্রি করে ৫৮ ডলারও পাব না।
বর্তমান পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ সতর্ক করেছে, ২০২২ সালের মধ্যে দেশটির ৯৭ শতাংশ মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে চলে যাবে। এরই মধ্যে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ৬০ কোটি ডলার সহায়তা চেয়েছে। এর বেশির ভাগই যাবে আফগানদের খাদ্য সরবরাহ করতে।
গত মাসে আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আজমল আহমাদি জানিয়েছিলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যদি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করে তাহলে জিডিপি ২০ শতাংশেরও নিচে নেমে যাবে।
বিশ্বব্যাংক বলছে, কোনো দেশের জিডিপির ১০ শতাংশ যদি বিদেশি তহবিলের ওপর নির্ভরশীল হয়, তাহলে বিদেশিদের ওপরই তারা নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। আর আফগানিস্তানের জিডিপির ৪০ শতাংশই গত ২০ বছর ধরে বিদেশি তহবিলের ওপর নির্ভরশীল। অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করেছেন, বর্তমান পরিস্থিতি চলতে থাকলে দেশটির অর্থনীতি একেবারেই ধসে পড়বে।