নানা জল্পনা কল্পনা শেষে দীর্ঘ ১৭মাস পর খুলেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। টানা স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকার পর আবারো স্কুল আঙ্গিনায় ফিরেছে প্রাণচাঞ্চল্যতা। বহুদিন পর সহপাঠী ও শিক্ষকদের পেয়ে তারা খুব খুশি। তবে দেখা গেছে আনোয়ারায় অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সকাল থেকেই গেইটে গেইটে জটলা করতে। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, অধিকাংশ শিক্ষার্থী সকাল বেলা বিভিন্ন জায়গায় কোচিং করে ক্লাস শুরুর আগেই তারা ক্যাম্পাসের সামনে হাজির হচ্ছেন। কেউ চলে আসছে আধা ঘন্টা আগে আবার কেউ কেউ ১৫ থেকে ২০ মিনিট আগে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের আগে স্কুল গেইট না খোলাই এসব শিক্ষার্থীদের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে গেটের বাইরে। একটু আগেভাগে চলে আসায় ক্যাম্পাসের গেটের বাইরে অপেক্ষমান শিক্ষার্থীদের জটলা চোখে পড়ার মত। অনেকেই একসঙ্গে গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে আছেন। আবার গেইট খুললে ঝটলা করে ডুকছেন। এতে করোনা সংক্রমণ ঝুঁকির আশঙ্কা করছেন অভিভাবক ও সচেতন মহল। অপরদিকে ক্লাস শেষে অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের দলবেঁধে আড্ডা দেওয়ার দৃশ্যও চোখে পড়ার মত। যা করোনার ঝুঁকির অন্যতম কারণ হতে পারে। গত সোমবার ও মঙ্গলবার উপজেলার বেশ কয়েকটি স্কুল কলেজ ঘুরে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের এমন চিত্র। এদিকে শিক্ষার্থীদের প্রথম দিনের স্কুল সময়টা অনেকটা কেটেছে আনন্দ-উৎসব ও কুশলাধি বিনিময়ের মাধ্যমে। পাশাপাশি সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতে করণীয় বিষয়ে ক্লাসে ক্লাসে কথা বলেছেন শিক্ষকরা। প্রথম দিন কিছুটা ঢিলেঢালাভাবে ক্লাস শেষ হলেও দ্বিতীয় দিন থেকে অনেকটা কড়াকড়িভাবেই শুরু হয়েছে পাঠদান কার্যক্রম। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মুতাবেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ক্লাস বন্টন ও শ্রেণী ভিত্তিক রুটিন করে পাঠদান কার্যক্রম জোরদার করেছে। এমনটাই জানিয়েছে শ্রেণীভিত্তিক দায়িত্ব প্রাপ্ত শিক্ষকরা। করোনার ঝুঁকি ও শিক্ষার্থীদের সচেতনতা বিষয়ে আনোয়ারা সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাছির উদ্দীন বলেন, আমরা স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা চিন্তা করে সব বিষয় মাথায় রেখে কাজ করে যাচ্ছি। শিক্ষার্থীরা কোচিং শেষ করে বাড়ী গিয়ে স্কুলে আসা বিষয়টি অনেক কষ্টসাধ্য। স্কুল কর্তৃপক্ষগুলো বিষয়টি আরো গুরুত্ব সহকারে নেওয়া উচিৎ বলে মনে করি। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ যোবায়ের আহমেদ বলেন, বিষয়টি আসলে উদ্ধেগ জনক। এবিষয়ে প্রধান শিক্ষকদের নতুন করে নির্দেশনা দেওয়া হবে।