চট্রগ্রাম ছবিটি গতকাল তোলা যে রাস্তাটি দেখা যাচ্ছে রাস্তাটি দিয়ে আদালত প্রাঙ্গণে যে সমস্ত গাড়ি প্রবেশ করে সে সমস্ত গাড়ি আদালত হতে নামার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আদালত প্রাঙ্গণে ভুক্তভোগীরা জানায় যে, সকাল ৯ঃ০০ ঘটিকা হতে বিকাল ৫ঃ০০ ঘটিকা পর্যন্ত যখন বিভিন্ন মানুষের ঢল নামে ঠিক সেই মুহূর্তে এইসব অবৈধ হকার্স এবং অবৈধ গাড়ি পার্কিং করার কারণে হাটা চলাচলের বিশাল অসুবিধায় পড়তে হয়। আঞ্চলিক ভাষায় স্থানীয় লোকজন বলে থাকে “আদালত অইয়ে চিটাংঅর নাভি” এই ব্যস্ততম রাস্তাটি প্রতিনিয়ত ব্যবহার করে থাকেন বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক (ডিসি), নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট, জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ইত্যাদি নামক সম্মানিত ব্যক্তিরা। অন্যদিকে আইনজীবী ও আসামিগণের কথা না বললেই নয়!! তারা জানায় অনেক সময় আমরা যথাযথ সময়ে শুনানি কিংবা হাজিরায় উপস্থিত হতে পারি না কেবলমাত্র অবৈধ পার্কিং ও অবৈধ হকার্স ব্যবসায়ীদের জন্য। সুতরাং এর ফলশ্রুতিতে বাদীপক্ষ কিংবা বিবাদী পক্ষের অপূরনীয় ক্ষতি হতে পারে যাহা টাকার অংকে কোনভাবেই পরিমাপযোগ্য নয়। আমার জানামতে এর পূর্বেও বেশ কয়েকবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসে এই অভিযোগগুলো কিন্তু কোনভাবেই কর্ণপাত করছেন না কোন কর্তৃপক্ষ। ভোর হওয়ার সাথে সাথে বিভিন্ন ধরনের হকার্স বসে থাকে যাদের মধ্যে অধিকাংশই হলো শুটকি ব্যবসায়ী, টংয়ের চায়ের দোকানদার, ফল বিক্রেতা ও বেডসীটের দোকানদার। নাম প্রকাশ করেনি এক ভদ্রমহিলা তিনি বলেন অনেক সময় একজন নারীর শরীরের সাথে অন্য ২-৩ জন পুরুষের কাঁধে কিংবা গায়ে ধাক্কা লাগে অনেক সময় উপচে রাস্তায় পড়ে যেতে হয়। যেই স্থানটি হতে আইন চর্চা করবে সাধারণ মানুষ আর সেই জায়গাটি হতে প্রতিদিন শিখতে হচ্ছে শৃঙ্খলা কিভাবে লঙ্ঘন করতে হয়? চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি স্পষ্টভাবে লিখেছেন গাড়ি পার্কিং সম্পূর্ণভাবে নিষেধ সেখানেই দ্বিগুন হারে গাড়ি রাখা হয় তাও কি আমলে নেয়ার মতো নয়?