আনোয়ারা রির্পোটার চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার সিইউএফএল ১৫ নং ফেরিঘাটে যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য চরমে পৌঁছেছে। ঘাটে জনপ্রতি ভাড়া ১০ টাকা করে নির্ধারণ করা হলেও ভাড়া নিচ্ছে জনপ্রতি ১৫ টাকা করে। বাড়তি ভাড়া নিয়ে কোন যাত্রী প্রশ্ন করলে তাদের নাজেহাল করা হচ্ছে। তাই এই ঘাটে অতিরিক্ত ভাড়া নৈরাজ্য রুখতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা। সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিদিন বিমানবন্দরে যাত্রী ও শহরে আসা যাওয়া কাজে হাজার হাজার মানুষের একমাত্র যাতায়াতের ভরসা হলো ইঞ্জিন চালিত বোটগুলো। এতে তারা যাত্রীদের জিম্মি করে ইচ্ছে মতো ভাড়া আদায় করছে এবং বিশ থেকে ত্রিশজন মতো যাত্রী তুলে প্রতিটি বোটে। যাত্রীরা নিরুপায় হয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। ভাড়া নৈরাজ্য নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জুবায়ের আহমেদ একাধিকবার অভিযান চালিয়ে ভাড়া ও যাত্রীদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন। কিছুদিন ঠিক থাকার পরে আবারো তারা অতিরিক্ত ভাড়া ও অতিরিক্ত যাত্রী নিতে শুরু করে দেয়। ভাড়া নৈরাজ্য নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করলেও অসহায় থাকতে হচ্ছে বোট চালক সিন্ডিকেন্ডের কাছে। এই পথে প্রতিদিনের যাত্রী চাকরীজীবি মোহাম্মদ ইউনুছ জানান, ঘাটে মাঝিদের আচার ব্যবহার খুবই খারাপ। অতিরিক্ত ভাড়া ও অতিরিক্ত যাত্রী বহন করে তারা কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা করে না। ভাড়া নৈরাজ্য নিয়ে জানতে চাইলে মাঝিদের মনোনীত সভাপতি জয়নাব আলী বলেন, আগে ৩০ জন যাত্রী নিলে ১০ টাকা আর ২০ জন নিলে ১৫ টাকা নির্ধারিত হয়েছে বলে জানান। এ ব্যাপারে আনোয়ারা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আবদুল নূর চৌধুরী বলেন, প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী এই ঘাট দিয়ে পারাপার করে। যাত্রীদের উপর জুলুম বন্ধ করতে হবে। প্রশাসনের দরকার গুরুত্বপূর্ণ এই ঘাটটিতে যেন সার্বক্ষণিক নজরদারী রাখে। জানতে চাইলে আনোয়ারা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর হাসান চৌধুরী বলেন, ঐ ঘাটে ইউএনও স্যার শেখ জোবায়ের আহমেদ মাঝিদের সাথে আলোচনা করে কতজন যাত্রী নিবে এবং ভাড়া কত টাকা নিবে তা নির্ধারণ করে দিয়েছে। যদি তার ব্যতিক্রম পাওয়া যায় তাহলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।