• বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৩ অপরাহ্ন

    লেখক মন্ত্রনালয় প্রতিষ্ঠা ও “১৮ সেপ্টেম্বর বিশ্ব লেখক অধিকার দিবস”রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন সম্পন্ন।

স্টাফ রিপোর্টার / ৬৯৫ Time View
Update : মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১
ছবি একুশে সংবাদ

 “অক্ষরে অমরতা” শ্লোগানের পতাকাবাহী আন্তর্জাতিক সাহিত্য ও সমাজকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান ‘কলম একাডেমি লন্ডন’ এর উদ্যোগে

গতকাল ১৮ সেপ্টেম্বর রোজ শনিবার” ১৮ ই সেপ্টেম্বর বিশ্ব লেখক অধিকার দিবস” এর রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে ও লেখক মন্ত্রনালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে সন্ধ্যে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস আর রহমান হলে কলমের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক অধ্যাপক নজরুল ইসলাম হাবিবীর পক্ষে যা ইতিমধ্যে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নিকট লন্ডন হতে ইমেইলে পাঠানো হয়েছে সে দাবি সমুহ বাস্তবায়ন ও প্রতিষ্ঠার দাবিতে কলম একাডেমী লন্ডন এর কেন্দ্রীয় যোগাযোগ ও প্রযুক্তি সম্পাদক ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক প্রাবন্ধিক ও গনমাধ্যমকর্মীমোঃ কামরুল ইসলাম সাংবাদিকদের উদ্দশ্যে লিখিত ভাবে পাঠ করেন। এতে উপস্হিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সভাপতি করুণা আচার্য,কলম একাডেমী লন্ডন চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপদেষ্টা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড.মোঃ ফরিদ উদ্দিন ফারুক, কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা অধ্যাপক জিতেন্দ্রলাল বড়ুয়া,চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি কুতুবউদ্দিন বখতেয়ার,মুক্তিযোদ্ধা শুক্কুর চৌধুরী,উপদেষ্টা ফজল কাদের,রোটারিয়ান দুর্জয় পাল ও জয়নাল ফয়েজি সহ প্রমুখ। মোঃ কামরুল ইসলাম কলম একাডেমী লন্ডনের পক্ষে তার লিখিত বক্তব্যে বলেন,সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে গত ১০ বছর ধরে সাহিত্যের মাধ্যমে বিশ্বে অসাম্প্রদায়িক এবং সাম্যসমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিশ্বের দেশে দেশে এমনকি গ্রামপর্যায়েও কলমের সংগঠন আছে। এই সংগঠন বিশ্ব জুড়ে এক অনুপম ভ্রাতৃত্ব ও ভালবাসার বন্ধন সৃষ্টি করেছে।জাতি, ধর্ম, দর্শন, শ্রেণি ও বর্ণ নির্বিশেষে সকলের প্রতি সহযোগিতার হাত প্রসারিত করে পৃথিবীতে এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এ সংগঠন বৃটেন এবং বাংলাদেশ থেকে রেজিস্ট্রার্ড চ্যারিটিবল সংস্থা (দুই জাহানের সংগঠন) ‘সারাহ-হাবিব লন্ডন’ এর অন্বিত সংগঠন।সাহিত্যের মাধ্যমে সমাজ বিনির্মাণের পাশাপাশি, এই সংগঠন বিভিন্নভাবে সমাজের অসহায় দরিদ্র মানুষের সেবায় এগিয়ে আসে। এই সংগঠন বই-পুস্তক লিখে দেশে-বিদেশে বিনা মুল্যে বিতরণ করে থাকে। শিক্ষা কেন্দ্র স্থাপন, ভারত ও বাংলাদেশের লেখকের লেখা ইংরেজিতে অনুবাদ করে বহির্বিশ্বে প্রচার প্রসারের ব্যবস্থাকরণ, এবং বাংলা ভাষার উপর বহিঃবিশ্বে সভা-সেমিনার করা সহ অনেক কাজ এই সংগঠন করে থাকে। এতে করে আমাদের দেশ ও আমাদের পতাকা আন্তর্জাতিক মহলে সম্মানিত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন,বঙ্গবন্ধু আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে এ দেশে এনে এবং তিনি ইউনাইটেড নেশনে বাংলায় বক্তব্য রেখে আজ ইতিহাস হয়ে আছেন। অনুরূপ ভাবে আমরা বিশ্বাস করি মাননীয় প্রধান মন্ত্রী লক্ষ লক্ষ লেখকের মনের আবেদন ‘লেখক মন্ত্রণালয়’ প্রতিষ্ঠা করে ইতিহাস সৃষ্টি করতে পারেন।বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ‘কলম একাডেমি লন্ডন’ এর শাখা আছে।এই সংগঠনে ভিন্ন ভাষাভাষীর লেখকরাও আছেন। তাঁরাও তাঁদের দেশে এই দাবির পক্ষে কাজ করছেন।সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা একজন বাংলাদেশী তাই তিনি চান এই দাবির বাস্তবায়ন প্রথম বাংলাদেশ থেকে এবং চট্টগ্রাম থেকে শুরু হোক। বাংলাদেশই প্রথম ইতিহাস সৃষ্টি করুক। পৃথিবীর ইতিহাসে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখিত হোক। এতে বাংলাদেশের নাম ও সম্মান আরো বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে। বিশ্বের ভিন্ন ভাষাভাষীরা বাংলাভাষার প্রতি আগ্রহী হবে। বাংলাদেশের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে। বেশ কিছু কারণে লেখকদের পাশে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ আপনাদের পেতে চাই-আমরা বাঙালি। বাংলা ভাষাকে সবাই ভালোবাসেন। সাহিত্যকে ভালোবাসেন। আমি লক্ষ্য করেছি, আমাদের প্রধান মন্ত্রী গ্রামগঞ্জের সাহিত্য সম্পর্কেও খবরাখবর রাখেন, এবং অনেক সময় কবিতা বা গান শুনে আপ্লুত হয়ে পড়েন! তাই কলম একাডেমী লন্ডন ও এর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক নজরুল হাবিবী মনে করেন আমাদের এই নৈতিক এবং যৌক্তিক দাবি পুরন করা মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর পক্ষে সম্ভব, কারণ আমাদের কথাগুলি মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ও আপনাদের মনের কথা। তিনি বলেন, লেখকেরা যদি স্বাচ্ছন্দ্যে লিখতে পারেন তখন সাহিত্য সমৃদ্ধ হবে।লেখক সুখি হলে, অভাবে না থাকলে নির্দ্বিধায় নিশ্চিন্তে নানাবিধ কল্যাণকর সাহিত্য রচনা করতে পারবেন। এতে জাতি শিক্ষিত হবে।দেশ মর্যাদাশীল হবে।বিশ্বের ধনী এবং শিক্ষিত রাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশ পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যেতে পারবে।বাংলাদেশ, বাংলাভাষা এবং বাংলাসাহিত্যের গ্রহণযোগ্যতা বিশ্বে বেড়ে যাবে।তাই কলম একাডেমী লন্ডনের দাবি বিশ্বের সকল দেশে লেখক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা,(যার সূচনা হবে বাংলাদেশ থেকে)। বিশ্ব লেখক অধিকার দিবস’ এর রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি,লেখক পরিবারের জন্য সরকারি ভাতা,লেখক ও তাঁর প্রজন্মের জন্য ফ্রী শিক্ষা/ উচ্চ শিক্ষার সুযোগ,লেখক ও তাঁর পরিবারের জন্য ফ্রী চিকিৎসা, লেখক ও তাঁর পরিবারের জন্য ফ্রী বাসস্থান, জাতীয় পর্যায়ে পল্লী লেখকদের স্বীকৃতি,সরকারি খরচে পল্লী লেখকদের সাহিত্যকর্মের প্রকাশ ও বিক্রির ব্যবস্থা,চাকরিতে লেখক কোটার ব্যবস্থা,লেখক ও তাঁর পরিবারের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। আমরা মনে করি, বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে লেখকের গুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়টিকে বাস্তবে রূপ দিয়ে নতুন একটি ইতিহাস সৃষ্টি করবেন। বাংলাদেশ সহ বিশ্বের লক্ষ কোটি লেখকের কাছে তিনি হয়ে থাকবেন পরম সম্মানিত। লেখকেরা আজীবন তাঁকে নিয়ে লিখবেন। তাঁরা আজীবন গাইবেন প্রধানমন্ত্রীর গুণগান। লেখকের কলমে আজকের প্রধানমন্ত্রী পাবেন “অক্ষরে অমরতা”।করোনা পরিস্থিতে সম্পুর্ন স্বাস্হ্যবিধি মেনে সাংবাদিক সম্মেলন হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

ফেসবুকে আমরা