এদিকে তালেবানের শীর্ষ এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আফগানিস্তানে আবারও মৃত্যুদণ্ড কিংবা অঙ্গচ্ছেদের মতো শাস্তি চালু করা হবে।
তালেবান প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তাদের এবারের শাসনামল আগের মতো কট্টর কিংবা কঠোর হবে না। নারীর অধিকার রক্ষার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে তারা। এ ছাড়া আগের সরকারের সব সদস্যকে তারা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে, কিন্তু কাবুলের অনেক বাসিন্দা সম্প্রতি অভিযোগ তুলেছেন যে তালেবানের কিছু যোদ্ধা তাঁদের সঙ্গে প্রতিশোধমূলক আচরণ করছে। একই ধরনের অভিযোগ অন্যান্য শহরেও উঠেছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।
এ অবস্থায় গতকাল এক অডিও বার্তায় তালেবানের মন্ত্রিসভার সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ সদস্য ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ ইয়াকুব বলেন, অনেক তালেবান যোদ্ধা জুলুম-নির্যাতন চালাচ্ছে বলে বিক্ষিপ্তভাবে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। তালেবান যোদ্ধাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন যে আফগানিস্তানে সবাইকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছে। কারো ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার অধিকার তালেবানের কোনো যোদ্ধাকে দেওয়া হয়নি। এ ধরনের কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না।’
এদিকে তালেবান সরকারে প্রধান কারা কর্মকর্তার দায়িত্ব পাওয়া মোল্লা নুরুদ্দিন তুরাবি বলেছেন, আফগানিস্তানে আবারও মৃত্যুদণ্ড কিংবা অঙ্গচ্ছেদের মতো শাস্তির বিধান চালু করা হবে। এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এবার হয়তো প্রকাশ্যে শাস্তি কার্যকর করা হবে না। তালেবানের প্রথম শাসনামলে ‘ধর্মীয় পুলিশের’ প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তুরাবি। যুক্তরাষ্ট্রের কালো তালিকাভুক্ত এই কর্মকর্তা বলেন, ‘সবাই আমাদের বিচারব্যবস্থা নিয়ে সমালোচনা করে। আমরা কিন্তু অন্যদের বিচারব্যবস্থা নিয়ে কখনো কিছু বলিনি।’
আফগান ইস্যুতে গত বুধবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী চার সদস্যরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, মানবাধিকাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে তালেবানকে চাপে রাখতে বিশ্বসম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্য রয়েছে।