শ্রম আপিল ট্রাইবুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ফারুক বলেন বাঙ্গালীর জীবনে নজরুল সারা জীবন বেঁচে থাকবেন। তিনি হলেন আমাদের জীবনের প্রেরণা। সেই ছোট্ট দুখু মিয়া থেকে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর অমর সৃষ্টি শুধু বাঙ্গালী নয় বরং বিশ^বাসী মনে রাখবেন। তিনি তার এক বিদ্রোহী কবিতার মধ্য দিয়ে যে অমর কাব্য রচনা করেছেন আর কিছু না লিখলেও তিনি ইতিহাস হয়ে থাকতেন। আগামী ডিসেম্বর মাসে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী কবিতার শত বার্ষিকী আশা করি নজরুল প্রেমীরা জাকজমকভাবে পালন করবেন। তিনি আরো বলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কবি নজরুলকে মর্যাদা দিয়েছিলেন। তিঁনি তার জয় বাঙ্গলা শব্দটি হৃদয়ে ধারণ করে বাংলাদেশের সৃষ্টি করেছেন। অমর কাব্যকাথা ৭ই মার্চ এর ভাষনের ইতিহাস আজ বিশ^জুড়ে নন্দিত। তিঁনিও তার প্রেরণা হিসেবে নজরুলকে ভাবতেন। আমরা সেই প্রিয় কবিকে যথাযথ মর্যাদার সাথে স্মরণ না করলে নিজেরাই বঞ্চিত হবো তার চেতনার বাতিঘর থেকে। সাউথ এশিয়া সোস্যাল এডুকেশন ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে গত শুক্রবার বিকাল ৫ টায় কেন্দ্রীয় কচিকাঁচা মিলনায়তনে কাজী নজরুল ইসলামের ৪৫ তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে “জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কর্মময় জীবন শীর্ষক” আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যের তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের উপদেষ্টা ও শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক গবেষণা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা’র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় চারুকলা অনুষদের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. হীরা সোবহান, অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন,জি এম ফারুক ব্যবস্থাপনা সম্পাদক, দৈনিক একুশে সংবাদ, কাজী নজরুল ইসলাম মডেল স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মোঃ জিহাদ রায়হান মোজাম্মেল, রংপুর সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর মোঃ মুনতাছির শামীম, একতারা শিল্প গোষ্ঠীর সভাপতি মোঃ শাহাদাত হোসেন, এশিয়া স্বপ্নপুরী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এ জে আলমগীর, স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের মহাসচিব আর কে রিপন। আলোচনা শেষে গুণীজনদের মাঝে স্মারক সম্মাননা প্রদান করা হয় এবং নজরুল সঙ্গীত পরিবেশনা করা হয় ও নজরুলের গানের উপর মনোজ্ঞনৃত্য পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠানের সভাপতি মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা তার বক্তব্যে বলেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকী রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন না করা জাতির জন্য খুবই দুঃখজনক। আমরা অনেকবার বলেছি জাতীয় কবির জন্ম-মৃত্যু বার্ষিকী রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা হোক। আজও সেই দাবী তুলছি। আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী কবিতার শত বার্ষিকী উদযাপন কমিটির মাধ্যমে আমরা পালন করবো। দুই বাংলায় বছরব্যাপী এই আয়োজন চলবে। আশা করছি নজরুল প্রেমীরা আমাদের এই আয়োজনে সারা দিয়ে পাশে থাকবেন।