• শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম
সংখ্যালঘু ইস্যুতে কেন্দ্র করে এক ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্র পাকানো হচ্ছে শেখ হাসিনা বাকশালকে নতুন আঙ্গিকে করেছিলেন: যুগ্ম মহাসচিব রিজভী ‘হিন্দুর বন্ধু’ বলছেন ইউনূস-বিএনপি-জামায়াতকে, মোদির ভূমিকায় ক্ষুব্ধ ‘বাংলাদেশের মোহন ভাগবত’ ১৯৭২ সালের সংবিধান সংস্কার প্রক্রিয়ায় আস্থা প্রকাশ ড. কামাল হোসেনের আমাদের সম্পর্কে চ্যালেঞ্জ হবে না, কমলা বা ট্রাম্প যেই জয়ী হোক  : শফিকুল আলম অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে  একদিনেই ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৬৬ ডেঙ্গুতে সারাদেশে গাজা এবং লেবাননে জবাব দেয়ার প্রতিশ্রুতি ইরানের বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্প চীনে চালু হলো বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু  তাকলিমাকান মরুভূমির যে ভাবে জন্ম হয়েছিল 

অভিবাসী ইস্যুতে বেকায়দায় পড়তে যাচ্ছে বাইডেন প্রশাসন

অনলাইন ডেক্স / ৪২৪ Time View
Update : সোমবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১

অভিবাসী ইস্যুতে বেকায়দায় পড়তে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বিশেষ করে টেক্সাস সীমান্তে জড়ো হওয়া হাইতি থেকে আসা লোকজন তার প্রশাসনের জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। টেক্সাসের রিও গ্রান্ডির ডেল রিও ইন্টারন্যাশনাল ব্রিজের কাছে অস্থায়ী তাঁবুতে গাদাগাদি করে থাকা শরণার্থীরা সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময়ই আসতে শুরু করেছিল।

অভিবাসন নিয়ে রাজনীতির সূচনা ট্রাম্পের সময় হলেও এর জের টেনে চলেছে বাইডেন প্রশাসন। সীমান্ত রক্ষীরা ঐ শরণার্থীদের সঙ্গে রূঢ় আচরণ করছে। মানবাধিকার ও নাগরিক অধিকার গ্রুপগুলো এ নিয়ে সোচ্চার হচ্ছে। বলা হচ্ছে বর্ডার পেট্রল এজেন্টদের আচরণ ট্রাম্পের সময় যেমন ছিল এখনো ঠিক তাই আছে। শরণার্থীদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে, না আশ্রয় দেওয়া হবে তা নিয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে বাইডেন ছিলেন অভিবাসন প্রত্যাশীদের পক্ষে উচ্চকণ্ঠ। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছিলেন মানবাধিকার হবে তার পররাষ্ট্রনীতির মূল স্তম্ভ।

বাইডেন প্রশাসন যেন হাইতির শরণার্থীদের নিজ দেশে ফেরত না পাঠায় সে বিষয়ে অনুরোধ জানিয়ে গত সপ্তাহে ৩৮টি নাগরিক ও অভিবাসী অধিকার গ্রুপের এক জোটের পক্ষ থেকে হোয়াইট হাউজে চিঠি দেয়। সহিংসতা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে বাঁচতে তারা টেক্সাসের সীমান্তবর্তী ডেল রিওতে আশ্রয় নিয়েছিল।

ঐ জোটের মধ্যে ছিল এসিএলইউ, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও কনফারেন্স অন সিভিল অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস। চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে ছিলেন ব্ল্যাক অ্যালায়েন্সের নির্বাহী পরিচালক ও ন্যাশনাল কনফারেন্স অব ব্ল্যাক লয়ার্সের সভাপতি নানা জিয়াম্ফি। তিনি বলেন, পরিস্থিতি এখন এক সন্ধিক্ষণে এসে দাঁড়িয়েছে। এতে আরো বলা হয়েছে, ‘হাইতিতে সরাসরি প্লেনে করে শরণার্থী ফেরত পাঠিয়ে তাদের চরম দুর্দশার মুখে ঠেলে দিয়েছে, এর ফলে মারাও গেছে কিছু শরণার্থী। বিষয়টি আপনার প্রশাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। ডিপোর্টেশন ফ্লাইট অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।

সীমান্তে যারা নিরাপত্তা আশ্রয় চাইছে তাদের অবশ্যই আশ্রয় এবং তাদের আবেদনগুলো আইনানুগভাবে বিবেচনা করতে হবে। লক্ষণীয়, ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টির ভেতর থেকেই শরণার্থী বহিষ্কার বন্ধের কথা বলা হচ্ছে। নিউ ইয়র্ক থেকে নির্বাচিত ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে নির্বাচিত সিনেটর চাক শুমারও ঐ চিঠির প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। উল্লেখ্য, শুমার সিনেটে সংখ্যগরিষ্ঠ দলের নেতা। কংগ্রেসের উচ্চ ও নিম্নকক্ষ মিলিয়ে ১২ জন সদস্য ২২ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে বাইডেনের কাছে বহিষ্কার বন্ধ করার আহ্বান জানান। এদিন শরণার্থীদের প্রতি বর্ডার পেট্রল এজেন্টদের নির্মম আচরণের প্রকাশিত ভিডিওর সমালোচনা করে হোয়াইট হাউজ।

এর আগে ন্যাশনাল বর্ডার পেট্রল ইউনিয়ন শরণার্থী ইস্যুতে হোয়াইট হাউজের নির্দিষ্ট পরিকল্পনা না থাকার কঠোর ভাষায় সমালোচনা করে। ন্যাশনাল বর্ডার পেট্রল কাউন্সিলের প্রধান ব্রেনডন জাড বলেন, ‘ডেল রিও সীমান্তে নতুন ১৫ হাজার শরণার্থী আসার বিষয়টি উল্লেখ করে আমি জুনেই হোয়াইট হাউজকে অবহিত করেছিলাম।’ তিনি বলেন, তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত চেয়ে হোমল্যান্ড সিকিউরিটির কাছে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা ঠিক করে দিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তারা এই সময়ের মধ্যে সেই চিঠির উত্তর দেয়নি। সীমান্ত নিরাপত্তার বিষয়টি হোমল্যান্ড সিকিউরিটি তত্ত্বাবধান করে থাকে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

ফেসবুকে আমরা