এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের চারটি সমুদ্রবন্দর থেকে নেমে গেছে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত।
আজ সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও কাছাকাছি পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’ রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে ভারতের উত্তর অন্ধ্র প্রদেশ-দক্ষিণ ওড়িশা উপকূল অতিক্রম করে গভীর নিম্নচাপ হিসেবে উত্তর অন্ধ্র প্রদেশ এবং কাছাকাছি দক্ষিণ ওড়িশায় অবস্থান করছে। এটি আরো পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এর আগে ভারতের ওড়িশা ও অন্ধ্র প্রদেশের উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’। গতকাল রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপকূলীয় এলাকার স্থলভাগে আঘাত হানে এটি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় গুলাবের তাণ্ডবে অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীকাকুলামে জেলেদের একটি নৌকা ডুবে অন্তত দুই জেলে নিহত হয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন আরো চারজন।
দেশটির আবহাওয়া বিভাগের বরাতে বিভিন্ন গণমাধ্যম জানায়, অন্ধ্র প্রদেশের উত্তর উপকূল এবং তৎসংলগ্ন দক্ষিণ উপকূলীয় উড়িষ্যায় ঘণ্টায় ৬৫ থেকে ৭৫ কিলোমিটার গতিতে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড়টি। এর পরই অন্ধ্র প্রদেশ থেকে ক্রমশ পশ্চিম দিকে সরতে শুরু করে ‘গুলাব’। সেখানে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৮৫ কিলোমিটার।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় গুলাবের প্রভাবে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে ভারী বর্ষণের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এক পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, গুলাবের প্রভাবে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুরে, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি ঘনীভূত হয়ে শনিবার ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার পর ‘গুলাব’ নাম পায়। এটি পাকিস্তানের দেওয়া নাম। আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগর অঞ্চলের ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেয় বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার সাইক্লোনসংক্রান্ত আঞ্চলিক সংস্থা এসকাপ। এ অঞ্চলের ১৩টি দেশের দেওয়া নামের তালিকা থেকে পর্যায়ক্রমে নতুন নতুন ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক হয়।