আটককৃতরা হলেন আশরাফুল ইসলাম স্বাধীন (২৬), মাকসুদুল হক রিশাদ (২৮), মো. হাসান (২২), রুবেল মিয়া (৩১) ও মোহাম্মদ (২৫)। তাঁরা ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন এলাকার বাসিন্দা।
র্যাব সূত্র জানায়, এই লোমহর্ষক ঘটনার পরপরই ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন, পারিপার্শ্বিকতা বিচার এবং নিহতের ঘটনা পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করে ডাকাতদলের সন্ধান পায় র্যাব। মধ্যরাতে সর্বপ্রথম আশরাফুল ইসলাম স্বাধীনকে ময়মনসিংহের শিকারিকান্দা এলাকা থেকে বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে গ্রেপ্তার করে। তাঁর কাছ থেকে লুট হওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চেইন অপারেশনের মাধ্যমে ঘটনার সঙ্গে জড়িত মাকসুদুল হক রিশাদ, মো. হাসান, রুবেল মিয়া ও মোহাম্মদকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে লুট হওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। পরবর্তী সময়ে তাঁদের দেখানো জায়গা থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়, ট্রেনে ডাকাতির উদ্দেশ্যে কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে চারজন পেশাদার ডাকাত দেওয়ানগঞ্জগামী কমিউটার ট্রেনে ওঠে। রিশাদ, হাসান ও স্বাধীন টঙ্গী স্টেশন থেকে তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হয়। ট্রেনটি ফাতেমানগর স্টেশনে থামলে তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন মোহাম্মদসহ আরেক সহযোগী। ট্রেন স্টেশন ছেড়ে চলতে শুরু করলে তাঁরা ইঞ্জিনের পরের বগির ছাদে বসে থাকা যাত্রীদের মোবাইল ফোন ও টাকা লুট শুরু করেন। ডাকাতির এক পর্যায়ে মো. সাগর মিয়া ও নাহিদ বাধা দিলে তাদের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তি শুরু হয়। এ সময় ডাকাতরা তাদের হাতে থাকা অস্ত্র দিয়ে ওই দুইজনের মাথায় এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকে। সাগর ও নাহিদ আঘাতে লুটিয়ে পড়লে ডাকাতরা ময়মনসিংহ রেলস্টেশনে ট্রেন ঢুকার আগেই সিগন্যালের কাছে নেমে যায়।
র্যাব জানায়, তারা একটি সংঘবদ্ধ চক্র। এ চক্রটি নিয়মিত ডাকাতি করে আসছে। তারা ঢাকার কমলাপুর, এয়ারপোর্ট ও টঙ্গী রেলস্টেশন থেকে ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে ট্রেনে ওঠে।