অভিযোগে বলা হয়েছে, ওই ব্যক্তি বিভিন্নভাবে প্রায় দুই কোটি ৫৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
গতকাল সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে এ অভিযোগ করা হয় বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ। তিনি জানান, খুলনা জেনারেল হাসপাতালে বিদেশগামীদের করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট প্রকাশ কুমার নমুনা পরীক্ষার ফি গ্রহণের দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু তিনি দীর্ঘ ১৩ মাস ধরে প্রতিদিন যতজন করোনা পরীক্ষা করাতেন তার চেয়ে কমসংখ্যক মানুষের নাম খাতায় লিপিবদ্ধ করতেন। তিনি নমুনা পরীক্ষার যে তালিকা দিতেন সে অনুযায়ী ক্যাশিয়ার টাকা বুঝে নিতেন। বিষয়টি সন্দেহ হলে গত ২২ আগস্ট প্রকাশের বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এতে তাঁর প্রতারণার বিষয়টি ধরা পড়ে।
তিনি আরো জানান, গত বুধবার তাঁর কাছে করোনা পরীক্ষার হিসাব চাওয়া হয়। বৃহস্পতিবার ওই হিসাব দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার দুপুরে অফিসে বসে হিসাব করার এক পর্যায়ে তিনি কাউকে কিছু না জানিয়ে অফিস থেকে চলে যান। এর পর থেকে তিনি আর অফিসে আসেন না। তাঁর বাসায় লোক পাঠিয়েও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় খুলনা সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ওই সিভিল সার্জন। তিনি বলেন, গতকাল না হলে আজ মঙ্গলবার খুলনা সদর থানায় মামলা করা হতে পারে।