• শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম
জুলাই-আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন সময়ে গণহত্যার বিইএ প্রত্যক্ষ পরোক্ষ জড়িত এবং মদদদাতাদের বিচার করতে হবে যুবলীগ-ছাত্রলীগের পলাতক কর্মীরাই জাপার ছত্রছায়ায় কাজ করছে : ববি হাজ্জাজ দেড় দশকের মানবিক তারেক রহমানের প্রশংসায় নেটিজেনরা নতুন বাংলাদেশের স্থপতি হিসেবে ইতিহাসে নাম লেখাতে পারেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস ধামরাইয়ে শিশু শ্রমিকসহ গুরুতর আহত ২ জন! গাজীপুরে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফরজ্জামান বাবরের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন গাজীপুরের মোগরখাল ও চান্দনা এলাকায় আন্ডারপাস ও ড্রেন নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন তরুণ প্রজন্মই বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে : নাহিদ ইসলাম দক্ষিণ-পূর্ব  এশিয়ার শিশুখাদ্যে লুকানো চিনি নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ  ৪ থাই নাগরিকসহ নিহত ৭, লেবানন থেকে ইসরায়েলে রকেট হামলা

আইপিএলের ১০ অবিশ্বাস্য ঘটনা

অনলাইন ডেস্ক / ৪৬৪ Time View
Update : বুধবার, ৬ অক্টোবর, ২০২১

আইপিএল মানেই বাইশ গজে মারকাটারি ক্রিকেট। ২০০৮ থেকে ২০২১ পর্যন্ত এই ক্রোড়পতি লিগকে ঘিরে গড়েছে একের পর এক রেকর্ড। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর এখনও পর্যন্ত ট্রফি জিততে না পারলেও সেই দলের ক্রিস গেইল, বিরাট কোহলি ও এবি ডিভিলিয়ার্স একাধিক নজিরের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। সেই ১০টি অবিশ্বাস্য ঘটনার দিকে একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক।

১) সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান
২০১৩ সালের ২৩ এপ্রিল সাহারা পুনে ওয়ারিয়ার্সের বোলারদের বিরুদ্ধে ব্যাট হাতে ঝড় তু;এছিলেন ‘ইউনিভার্স বস’ ক্রিস গেইল। সেই ম্যাচে মাত্র ৬৬ বলে ১৭৫ রানে অপরাজিত থাকেন এই বাঁহাতি ওপেনার। মেরেছিলেন ১৩টি চার ও ১৭টি ছয়। স্ট্রাইক রেট ২৬৫.১৫। আইপিএলের ইতিহাসে এটাই এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে কেউ এতগুলি শতরান করতে পারেন তা এই আইপিএল শুরুর আগে অনেকেরই ধারণা ছিল না। তবে সেই সকল ধারণাকে ব্যাট হাতে মাঠের বাইরে করে দিয়েছেন ক্রিস্টোফার হেনরি গেইল।

২) দ্রুততম শতরান

২০১৩ সালে পুনের বিরুদ্ধে ১৭৫ রান করার ম্যাচে মাত্র ৩০ বলে শতরান পূর্ণ করেন ক্রিস গেইল। এত কম বলে কোনও ধরনের ক্রিকেটে কেউ শতরান করেননি। ৬৬ বলে ১৭৫ রান করেন তিনি। সেই রেকর্ড এখনও অক্ষত রয়েছে।

৩) সর্বোচ্চ দলীয় রান

পুনের বিরুদ্ধে গেইলের ১৭৫ রান করার ম্যাচে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট ২৬৩ রান তোলে আরসিবি। আইপিএল লিগের ইতিহাসে এটাই এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ দলীয় রান। সেই ম্যাচে পুনেকে ৯ উইকেটে ১৩৩ রানে আটকে দিয়ে ১৩০ রানে জিতে যায় আরসিবি।

৪) এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ছয়

পুনের বিরুদ্ধে যে ম্যাচে ১৭৫ নট আউট ছিলেন গেইল, সেই ম্যাচেই একা ১৭টি ছয় মারেন তিনি। সেই রেকর্ড আজও অক্ষত রয়েছে। সেই ম্যাচে বিপক্ষের কোনও বোলার গেইলের হাত থেকে রেহাই পায়নি।

৫) এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি চার

এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ১৯টি চার মারার রেকর্ড রয়েছে এবি ডিভিলিয়ার্স ও পল ভালথাটির। ডিভিলিয়ার্স ২০১৫ সালে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ৫৯ বলে ১৩৩ রান করেছিলেন। সেই ম্যাচেই এই রেকর্ড গড়েছিলেন ডিভিলিয়ার্স। অন্যদিকে ভালথাটি ২০১১ সালে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে একটি ম্যাচে এত সংখ্যক চার মেরেছিলেন। সেই ম্যাচে ৬৩ বলে ১২০ রান করেছিলেন এই ডানহাতি ব্যাটার।

৬) রান মেশিন বিরাট কোহলি

২০১৬ সালের আইপিএলে ১৬টি ইনিংসে ৯৭৩ রান করেছিলেন বিরাট কোহলি। এর মধ্যে ছিল চারটি শতরান ও ৭টি অর্ধশতরান। এক মৌসুমে প্রায় এক হাজার রানের গন্ডি এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যাটার টপকাতে পারেননি।

৭) সবচেয়ে বেশি শতরান

২০১৬ আইপিএলে মোট ৪টি শতরান করেছিলেন বিরাট কোহলি। এক মৌসুমে এতগুলি শতরানের রেকর্ড আর কারও নেই। ক্রিস গেইল, হাশিম আমলা, শিখর ধাওয়ান, শেন ওয়াটসনরা এক মৌসুমে দুইটি করে শতরান করেছিলেন।

৮) সেরা বোলিং

২০১৯ সালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে আগুনে পেস বোলিং করেন আলজারী জোসেফ। ৩.৪ ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে ৬ উইকেট নেন এই ডানহাতি ক্যারিবিয়ান জোরে বোলার। তার দাপটে মাত্র ৯৬ রানে গুটিয়ে যায় হায়দরাবাদ। ফলে ১৩৬ রানের পুঁজি নিয়েও ৪০ রানে জিতে যায় রোহিত শর্মার মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। এর আগে এই রেকর্ড পাকিস্তানের সোহেল তানভীরের দখলে ছিল। ২০০৮ সালে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে চার ওভারে ১৪ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন রাজস্থান রয়্যালসে খেলা এই বোলার।

৯) সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ

যে কোনও উইকেটে আইপিএলে সর্বোচ্চ পার্টনারশিপের রেকর্ড রয়েছে এবি ডিভিলিয়ার্স ও বিরাট কোহলির মধ্যে। ২০১৬ সালে গুজরাট লায়ন্সের বিরুদ্ধে ২২৯ রানের পার্টনারশিপ করেন দুইজনে। কোহলি ৫৫ বলে ১০৯ রান করেন। ‘মিস্টার ৩৬০ ডিগ্রি’ এবি ৫২ বলে ১২৯ রানে অপরাজিত থাকেন। ফলে ৩ উইকেটে ২৪৮ রান তুলে ১৪৪ রানে জিতে যায় আরসিবি।

১০) এক মৌসুমে সেরা বোলিং

এক মৌসুমে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড ডোয়েন ব্র্যাভোর দখলে রয়েছে। চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে ২০১৩ মৌসুমে সর্বোচ্চ ৩২টি উইকেট নিয়েছিলেন ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার। খেলেছিলেন ১৮টি ম্যাচ। ২০২০ সালে খুব কাছে পৌঁছে যান কাগিসো রাবাদা। দিল্লি ক্যাপিটালসের এই ডানহাতি জোরে বোলার ১৭ ম্যাচে ৩০ উইকেট নিয়েছিলেন। ফলে ‘ডিজে ব্র্যাভো’এর রেকর্ড এখনও অক্ষত রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

ফেসবুকে আমরা