স্থানীয় বাসিন্দা মজনু বলেন, তিন কলেজছাত্রী নিখোঁজের ঘটনায় যখন এই জিনিয়াকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায় তখন জানতে পারি সে কবিরাজের মেয়ে, টিকটক করে। বাবা মারা যাওয়ার পরই আরও বেপরোয়া হয়ে পড়েন জিনিয়া । তার পরিবারে উপার্জনক্ষম কোনো ব্যক্তি নেই। বড় ভাই থাকলেও তিনি বেকার। জিনিয়া পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সবার ছোট। এলাকায় সবাই জানে সে টিকটক করে আর বিদেশে লোক পাঠায়। আবার মানুষকে বিভিন্ন জায়গায় চাকরির ব্যবস্থা করে দেয়।
আরেক স্থানীয় বাসিন্দা আলম বেপারি জানান, জিনিয়ার পরিবার আগে বস্তিতে ভাড়া থাকতো। এখন মিরপুর ১১ নম্বরের এভিনিউ ফাইভের ১৫ নম্বর রোডের একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেকে কলেজের শিক্ষার্থী পরিচয় দিয়ে জিনিয়া তার ফেসবুক প্রোফাইলে নিজের নাম লিখেছেন, জিনিয়া জামান রোজি ওরফে বুলেট।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর পরিবারের কাউকে কিছু না বলে তিন কলেজছাত্রী নিজ নিজ বাসা থেকে বের হয়। বের হওয়ার সময় সবাই বাসা থেকে কয়েক লাখ টাকা, গহনা, স্কুল সার্টিফিকেট ও দামি মোবাইল নিয়ে যায়। পরে ওই তিন ছাত্রীর একজনের মা গত ১ অক্টোবর পল্লবী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এরপর শনিবার রাতে ৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন নিখোঁজ শিক্ষার্থী কাজী দিলখুশ জান্নাত নিসার বোন অ্যাডভোকেট কাজী রওশন দিল আফরোজ। মামলায় ৪/৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। মামলার আসামিরা হলেন মো. তরিকুল্লাহ (১৯), মো. রকিবুল্লাহ (২০), জিনিয়া ওরফে টিকটক জিনিয়া (১৮), শরফুদ্দিন আহম্মেদ আয়ন (১৮)।