• সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৩০ অপরাহ্ন
শিরোনাম
বিআরডিবি কুমিল্লা জেলা সিবিএ’র নির্বাচন অনুষ্ঠিত সংস্কার ও নির্বাচনের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই: ফখরুল জাহানারা ইসলাম ইন্তেকালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের শোক প্রকাশ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেছেন নবীন উদ্যোক্তারা শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার করা হবে : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা বাবদ ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার এনজিএস সিমেন্ট কোম্পানির ছত্র ছায়ায় এয়ার মোহাম্মদের বিরুদ্ধে জোরপুর্বক জমি দখলের অভিযোগ : আমি আমার জন্য ভোট চাইতে আসিনি আমি ধানের শীষ মার্কায় ভোট চাইতে এসেছি–মোবাশ্বের আলম ভুঁইয়া আওয়ামী সরকার আমলে মানুষের অধিকার হরণ হয়েছিল, গণতন্ত্র ধ্বংস হয়েছিল- ওয়াকিল হোসেন (বগা) চকরিয়ায় স্বামীর ছুরিকাঘাতে স্ত্রীর মৃত্যু, মুমূর্ষু অবস্থায় শাশুড়ি

নবম বেতন কমিশন গঠনের দাবি সরকারি চাকুরেদের

অনলাইন ডেস্ক / ৫৩২ Time View
Update : বুধবার, ৬ অক্টোবর, ২০২১

সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সর্বশেষ জাতীয় বেতন স্কেল ঘোষণার প্রায় সাত বছর হতে চলেছে। এরই মধ্যে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বমুখী চাপে নিষ্পেষিত সরকারি চাকরিজীবীরা।

তাদের জন্য তিনটি ‘বিশেষ ইনক্রিমেন্ট’ ও ‘নবম বেতন কমিশন’ গঠনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে আবেদন করেছে বাংলাদেশ সচিবালয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতি। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৩ অক্টোবর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ২৭ সেপ্টেম্বর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য তিনটি ‘বিশেষ ইনক্রিমেন্ট’ ও ‘নবম বেতন কমিশন’ গঠনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে আবেদন দেয় বাংলাদেশ সচিবালয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতি। তাদের দাবি, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে সরকার তাদের জীবনযাত্রার মান, আয়-ব্যয়ের সংগতি ও মুদ্রাস্ফীতিসহ অন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জাতীয় বেতন কমিশন কার্যকরের এক বা দুই বছর আগে বিভিন্ন সময় মহার্ঘ্য ভাতা প্রদান করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় অর্থ বিভাগ ১৯৮২, ২০০৩, ২০০৮ ও ২০১৩ সালে সরকারি সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গড়ে ২০ শতাংশ হারে মহার্ঘ্য ভাতা দেয়। জানা গেছে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জীবনযাত্রার মান ও ব্যয় বিবেচনায় নিয়ে ২০১৫ সালে জাতীয় বেতন স্কেল ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভবিষ্যৎ বেতন-ভাতা নির্ধারণ-সংক্রান্ত একটি মন্ত্রিসভা কমিটি গঠনের জন্যও প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ২০১৭ সালের ৯ মে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে (সমন্বয় ও সংস্কার) আহ্বায়ক করে ৯ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। কমিটির কার্যপরিধিতে বলা হয়, ভবিষ্যৎ বেতন-ভাতা নির্ধারণে সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি তাদের জীবনযাত্রার ব্যয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ রেখে এবং মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয়করণের উপায় নির্ধারণের লক্ষ্যে সার্বিক বিষয় বিচার-বিশ্লেষণপূর্বক একটি সুচিন্তিত সুপারিশমালা প্রণয়ন করবে। এ কমিটি ২০১৮ সালের শেষ দিকে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বাড়ানো বিষয়ে একটি সুপারিশমালা অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। এ প্রতিবেদনের ওপর কয়েকটি বৈঠকও করে অর্থ বিভাগ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বেতন বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। এর পরিপ্রেক্ষিতে সচিবালয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতি বলছে, জাতীয় বেতন স্কেল, ২০১৫ জারি হওয়ার পর প্রায় পাঁচ বছর অতিবাহিত হতে চলছে। ইতিমধ্যে বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, কল্যাণ ফান্ড, যৌথ বীমা, পরিবহন খরচসহ অন্যান্য বিল কয়েক গুণ বেড়েছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেসরকারি বাসা ভাড়া, পরিবহন, চিকিৎসা খরচ, ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার খরচসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যও বেড়েছে অনেক গুণ। এ ছাড়া বর্তমান বেতন স্কেলে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড সুবিধা না থাকায় নিম্ন বেতনভুক্ত কর্মচারীদের সংসার পরিচালনা করতে আরও বেশি হিমশিম খেতে হচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের এ ঊর্ধ্বগতির বিষয়টি বিবেচনা করে আপাতত তিনটি ‘বিশেষ ইনক্রিমেন্ট’ ও ‘নবম বেতন কমিশন’ গঠনের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে সমিতি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

ফেসবুকে আমরা