মঙ্গলবার সকালে এই অভিযান চালানো হয়। মেয়র আরিফের নেতৃত্বে চলা অভিযানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর সালেহ আহমদ সেলিম।
সিসিক সূত্রে জানা গেছে, শাহজালাল উপশহর আবাসিক এলাকা। এই উপশহরের ডি ব্লকে মূল সড়কের পাশে দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র অবৈধভাবে বাজার বসিয়ে রেখেছিল। মাছ, মুরগি, তরকারিসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য এই বাজারে বিক্রি হতো। ফুটপাত ও সড়ক ঘিরে গড়ে ওঠা এই অবৈধ বাজারের কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা ভোগান্তি পোহাচ্ছিলেন। অবৈধ বাজারের কারবারিরা প্রতিদিন পচা মাছ-তরকারি এবং মুরগির নাড়ি-ভুড়ি ফেলে যেতো; তাতে ছড়াতো দুর্গন্ধ। ফুটপাত দখল করে রাখায় স্থানীয়দের চলাচলে বিঘ্ন ঘটতো। সড়কের মধ্যে দোকান বসানোয় সড়ক সংকুচিত হয়ে তৈরি হতো যানজটের।
স্থানীয় লোকজন এই অবৈধ বাজার উচ্ছেদের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে এই বাজারের কারবারিদের সরে যাওয়ার জন্য একাধিকবার বলা হয়েছে। কিন্তু তাতে তারা কর্ণপাত না করায় অবশেষে অভিযান চালানো হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, মেয়র আরিফের এই অভিযান দেখে অবৈধ বাজারের মাছ ও তরকারি ব্যবসায়ীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। অনেকে তাদের মাছ-তরকারি ফেলে যায়। পরে গরীব ও খেটেখাওয়া লোকজন সেসব কুড়িয়ে নেন।
অভিযানে অবৈধ বাজারের বিভিন্ন জিনিসপত্র জব্দ করে সিসিক। এছাড়া অবৈধ স্থাপনাও গুড়িয়ে দেওয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, “অবৈধ বাজার বসিয়ে তারা পরিবেশ নষ্ট করছিল, মানুষ ভোগান্তি পেহাচ্ছিল। বারবার বলা সত্ত্বেও তারা বাজার সরায়নি। বাধ্য হয়ে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।”
স্থানীয় কাউন্সিলর সালেহ আহমদ সেলিম বলেন, “অবৈধ বাজারের কারবারিদের বারবার বলেছি, আপনারা এখানে জড়ো হয়ে পরিবেশ নষ্ট করবেন না। আপনারা হেঁটে হেঁটে বিক্রি করেন। তারা শোনেনি। তাদের কারণে রাস্তা সরু হয়ে যায়, জ্যাম লাগে। পরে মেয়র মহোদয়কে বলি, আপনি উচ্ছেদ অভিযান চালান।”
তিনি বলেন, “উপশহর পরিকল্পিত এলাকা, সুন্দর পরিবেশ। এটা বজায় রাখতে হবে। এই এলাকার বাসিন্দাদের জন্য একটি স্থানীয় কাঁচাবাজারের বসানো যায় কিনা, তা দেখার আশ্বাস দিয়েছেন মেয়র মহোদয়।”