• বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৭:৩৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
সাভারের আশুলিয়ায় স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নীলফামারীর ডোমারে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার অপসারণের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ, বিগত দিনে আন্দোলন সংগ্রামে সংশ্লিষ্টরা কমিটিতে স্থান পাবে -জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহমাতুল্লাহ পলাশ । সাগর-রুনি হত্যা মামলা সরকারের অগ্রাধিকার মামলার শীর্ষে : পরিবেশ উপদেষ্টা আদালত, প্রসিকিউশন, প্রশাসন ও পুলিশের সমন্বয়ে কাজ করলে জনগণ ন্যায়বিচার পাবে : আইন উপদেষ্টা গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প এবং সংস্কারে মার্কিন অব্যাহত সহায়তা কামনা প্রধান উপদেষ্টার শেখ হাসিনা দেশ অস্থিতিশীল করলে দায় ভারতের : মামুনুল হক সাবেক এমপি মজিদ খান গ্রেপ্তার মানবাধিকার লঙ্ঘন কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না: প্রধান উপদেষ্টা সাঈদ খোকন পরিবারের ৭৯ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ

বিএনপি’র কর্মসূচি মানেই জনগণের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করা : কাদের

অনলাইন ডেস্ক / ৪৩২ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২১

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি কর্মসূচির নামে কোনোরূপ সন্ত্রাস ও জনভোগান্তি সৃষ্টি করলে আওয়ামী লীগ জনগণকে সাথে নিয়ে কঠোরভাবে তা প্রতিহত করবে।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে তার বাসভবনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সভা-সমাবেশ সকলের সাংবিধানিক অধিকার কিন্তু সমাবেশের অনুমতি না দিলে বিএনপি বলতো সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, আর অনুমতি দিলে হামলা, সন্ত্রাস সৃষ্টি করে জনগণের সম্পদ বিনষ্ট করে। বিএনপির কর্মসূচি মানেই জনগণের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করা।’

তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার নয়াপল্টনে পুলিশের ওপর হামলা এবং সন্ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে বিএনপি প্রমাণ করেছে তারা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনে সক্ষম নয় তাদের কর্মসূচি মানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা।

কাদের বলেন, মঙ্গলবারের কথিত সম্প্রীতি সমাবেশের আড়ালে বিএনপির ভিন্ন কোনো এজেন্ডা ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা দরকার। অপরাধীদের বাঁচানোর জন্যই সম্প্রীতি সমাবেশের নামে বিএনপির এ সন্ত্রাস।

তিনি বলেন, আসলে হামলা, সংঘর্ষ, ষড়যন্ত্র আর সন্ত্রাসী বিএনপির রাজনীতি, সেটা পূজামণ্ডপে হোক আর নয়াপল্টনে হোক, বিএনপি এই বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না।

সরকার প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন চায় জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনা সরকার কখনো খালি মাঠে গোল দিতে চায় না, সরকার চায় প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ নির্বাচন, আর খালি মাঠে গোল দিতে আওয়ামী লীগ অভ্যস্ত নয়। বিএনপিই জন্ম লগ্ন থেকে এ চর্চা করে আসছে। ১৫ ফেব্রুয়ারির খালি মাঠে নির্বাচনে কথা বিএনপি ভুলে গেলেও জনগণ এখনো ভুলেনি।

বিএনপি নেতারা তাদের ব্যর্থতা আড়াল করতে ও কর্মী সমর্থকদের রোষানল থেকে বাঁচার জন্য বিভিন্ন বক্তব্য দিচ্ছেন জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নয়, নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে।

পূজা মণ্ডপের ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সরকারের মামলা দেয়ার অভিযোগ সত্য নয় জানিয়ে তিনি বলেন, কে কোন দল করে সেটা দেখে নয়, ভিডিও ফুটেজ দেখেই চিহ্নিতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার মাধ্যমে বিএনপি পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে চেয়েছিল কিন্তু সরকার তা শক্ত হাতে দমন করেছে। বিএনপি জাতিকে বিভ্রান্ত করছে এবং বিভেদ তৈরি করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করছে দেশকে উন্নয়নের সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিতে আর এটাই বিএনপি’র গাত্রদাহের কারণ।

স্থানীয় সরকার নির্বাচনের পরবর্তী ধাপে যে সব এলাকায় অনুষ্ঠিত হবে, সে সব এলাকার আওয়ামী লীগের প্রতিটি সাংগঠনিক ইউনিটকে এখন থেকেই প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ইউনিট সমূহকে এখন থেকেই মিটিং করে রেজুলেশন প্রস্তুত করতে হবে। যখন যে এলাকার জন্য নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে তার পরপরই ইউনিয়ন থেকে উপজেলা এবং জেলা হয়ে রেজুলেশন কেন্দ্রে জমা দিতে হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

ফেসবুকে আমরা