শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে গণসংহতি আন্দোলনের চতুর্থ জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আয়োজক সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে সম্মেলনে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, সাইফুল হক, বজলুর রশীদ ফিরোজ, রফিকুল ইসলাম বাবলু, হাসনাত কাইয়ুম, আবুল হাসান রুবেল, ফিরোজ আহমেদ প্রমুখ রাজনীতিক বক্তব্য রাখেন।
ড. কামাল বলেন, দেশে জনগণের সরকার দরকার। বর্তমান এই সরকারের ওপর জনগণের কোনো আস্থা নেই। কিন্তু তারা ক্ষমতা ভোগ করে যাচ্ছে। দেশে ষোল আনা স্বৈরাচার বিরাজ করছে। কোনো কিছুই জনগণের নিয়ন্ত্রণে নেই। অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণে নেই, দেশের শাসনতন্ত্র জনগণের নিয়ন্ত্রণে নেই।
জেলায় জেলায় শহরে শহরে মানুষকে সংঘবদ্ধ করে জাতীয় উন্নয়নের জন্য সংগ্রাম করার আহ্বান জানান দেশের এই সংবিধান প্রণেতা।
তিনি বলেন, জনগণ আন্দোলনের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত। পরিবর্তন আনতে হলে কেবল জনগণের ঐক্য লাগবে। মানুষের মানুষে ঐক্য হয়ে আছে। এখন দেশকে বাঁচাতে হবে। অবিলম্বে রাজপথে নামতে হবে। রাজপথে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমাদের মালিকানা ফিরে পাবো। দেশের মালিকানা আত্মসাৎ করা হয়েছে। রাজপথকে দখল করে জনগণের সরকার, ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দেশে বর্তমানে ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে।
বর্তমান সরকারকে গণবিরোধী আখ্যা দিয়ে গণফোরাম সভাপতি বলেন, তাদের থেকে দেশকে উত্তরণ ঘটাতে হবে। সারাদেশের রাজপথ যখন দখলে আসবে, তখন দেশে মানুষের শাসন প্রতিষ্ঠা পাবে।
ড. কামাল আরও বলেন, ঐক্যের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। আমি ভরসা পাচ্ছি, মানুষের ঐক্য হচ্ছে। এখন ডাক দিলেই রাজপথে নেমে আসতে হবে। অগণতান্ত্রিক গণবিরোধী শক্তি তাহলে দাঁড়াতে পারবে না। তারা যতই ভাবুক, রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে ফেলেছে, তাদের আমরা সরাবোই এবং জনগণের মালিকানা প্রতিষ্ঠা করবো। অতীতের মতো এবারও সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান ড. কামাল।