• শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫১ অপরাহ্ন
শিরোনাম
সংখ্যালঘু ইস্যুতে কেন্দ্র করে এক ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্র পাকানো হচ্ছে শেখ হাসিনা বাকশালকে নতুন আঙ্গিকে করেছিলেন: যুগ্ম মহাসচিব রিজভী ‘হিন্দুর বন্ধু’ বলছেন ইউনূস-বিএনপি-জামায়াতকে, মোদির ভূমিকায় ক্ষুব্ধ ‘বাংলাদেশের মোহন ভাগবত’ ১৯৭২ সালের সংবিধান সংস্কার প্রক্রিয়ায় আস্থা প্রকাশ ড. কামাল হোসেনের আমাদের সম্পর্কে চ্যালেঞ্জ হবে না, কমলা বা ট্রাম্প যেই জয়ী হোক  : শফিকুল আলম অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে  একদিনেই ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৬৬ ডেঙ্গুতে সারাদেশে গাজা এবং লেবাননে জবাব দেয়ার প্রতিশ্রুতি ইরানের বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্প চীনে চালু হলো বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু  তাকলিমাকান মরুভূমির যে ভাবে জন্ম হয়েছিল 

‘আইনজীবী ছাড়া আদালতে সরাসরি দাঁড়ানো ফ্যাশন হয়ে গেছে’

অনলাইন ডেস্ক / ৪৩৮ Time View
Update : সোমবার, ১ নভেম্বর, ২০২১

ভার্চুয়াল আদালতের সুযোগ নিয়ে আইনজীবী ছাড়াই একের পর এক বিচার প্রার্থীর দেশের সর্বোচ্চ আদালতে সরাসরি দাঁড়ানো ফ্যাশন হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আপিল বিভাগ।

সোমবার বেশ কয়েকজন বিচারপ্রার্থী সরাসরি আপিল বিভাগের এজলাস কক্ষ থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে মামলার নিষ্পত্তির আবেদন করলে আদালত এ মন্তব্য করেন।
সকালে আপিল বিভাগের বিচার কাজ শুরু হলে প্রথমেই দুই নারী বিচারপ্রার্থী দাঁড়িয়ে তাদের চাকরি সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তি করতে আবেদন করেন। মানবিক দৃষ্টি দিয়ে আদালতের কাছে বিচার প্রার্থনা করেন। তখন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, আমাদের আইন মাফিক চলতে হবে। মানবিক আবেদন করবেন সরকারের কাছে। আমরা মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখবো না। আমরা দেখবো আইনের দৃষ্টিকোণ থেকে। মানবিক দৃষ্টিতে দেখবে সরকার। মানবিক এতটুকুই করতে পারবো মামলাটা তাড়াতাড়ি শুনবো। পরে আগামীকাল তাদের মামলাটি শুনানির জন্য দিন ঠিক করে দেন। ওই দুই নারীর আবেদনের পরই আরেকজন বিচারপ্রার্থী দাঁড়ান তার আবেদন নিয়ে। তিনি নিজেকে বেকার যুবক দাবি করে বলেন, আমি বাংলাদেশ রেলওয়েতে চাকরির জন্য দরখাস্ত করেছিলাম। সেই মামলায় হাইকোর্ট থেকে রায় পেয়েছি। মামলাটি আপিল বিভাগে পেন্ডিং আছে। কিন্তু রেলওয়ে আমাদের নিয়োগ দিচ্ছে না। এটা দেখে প্রধান বিচারপতি বলেন, এটা তো মহা মুশকিল। আপনার আইনজীবী কই? এ সময় আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, চেম্বার আদালতে আবেদন না দিয়ে আপিলে চলে আসছেন কেন? একটা ফ্যাশন শুরু হয়ে গেছে আইনজীবী ছাড়া কোর্টে এসে দাঁড়িয়ে যাওয়া। প্রধান বিচারপতি বলেন, আপনার আইনজীবী কে? জবাবে ওই বিচারপ্রার্থী বলেন, পঙ্কজ কুমার কুণ্ডু। তখন বিচারপতি ইমান আলী বলেন, আপনার আইনজীবী থাকতে আপনি এখানে দাড়াঁতে পারেন না। প্রধান বিচারপতি বলেন, আপনার মামলার অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড যিনি আছেন তাকে দিয়ে আবেদন দেন। এরপর আরেকজন আদালতের সামনে দাঁড়িয়ে বলেন, আমি গরিব মানুষ। আমি মসজিদের মুয়াজ্জিন। আমি খুবই গরিব মানুষ। আমি মানুষের যাকাত ফেতরা নিয়ে খাই। স্যার আমার মামাঁটা বন্ধ হয়ে রয়েছে। যদি দয়া করে একটু দেখতেন। একের পর এক এভাবে আইনজীবী ছাড়া সরাসরি কোর্টে দাঁড়ানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, এরপর থেকে যেসব আইনজীবীদের ক্লায়েন্ট সরাসরি কোর্টে এসে দাঁড়াবে, আমরা তার সনদ বাতিল করে দেবো। আগামীকাল থেকে যারা দাঁড়াবে তাদের আইনজীবী থাকলে তাদের সনদ আমরা পাচঁজন মিলে বাতিল করে দেবো। আপনার আইনজীবী আছে কি না আদালতের এমন প্রশ্নের জবাবে ওই বিচারপ্রার্থী বলেন, উকিল আছে। অনেক টাকা চায়। তখন আদালত বলেন, আপনি আইনজীবী না রেখে থাকলে আপনারটা শুনবো। আপনার মামলার নম্বর দিয়ে যান। পরে আদালত কার্যতালিকা অনুসারে শুনানি শুরু করেন।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

ফেসবুকে আমরা