• মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, ০৫:৪৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম
ইন্দোনেশিয়ার আগ্নেয়গিরি যেখানে আগুন নীল! কাওয়া আইজেনের অবিশ্বাস্য রহস্য এপ্রিলেই ৩১ লাখের বেশি শিক্ষার্থী স্কুল ফিডিংয়ের আওতায় আসছে : প্রাথমিক বিদ্যালয় মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টে নিয়মিত বাংলাদেশ প্রসঙ্গ, যা বললেন ট্যামি ব্রুস উপত্যকায় ভয়াবহ হামলায় মৃত্যুর আগে আল-জাজিরার সাংবাদিকের আবেগঘন বার্তা : ইসরায়েলি  বিশ্বজুড়ে নতুন বার্ড ফ্লু থেকে নতুন মহামারীর সম্ভাবনা, বিজ্ঞানীদের সতর্কবার্তা মানবিক সহায়তা হ্রাসের ফলে আরো শিশু মারা যেতে পারে : জাতিসংঘ দক্ষিণ দ্বীপে ৬.৭ মাত্রার ভূমিকম্প : নিউজিল্যান্ডের  আমিই গোল করব, আর্জেন্টিনাকে হারাব ; রাফিনিয়ার হুঙ্কার ভারতকে হারাতে চান জামাল ভূঁইয়ারা : এএফসি এশিয়ান কাপ তামিম এখন কেমন আছেন 

কারাগারে মৃত্যুদণ্ডের আসামিদের কী সুযোগ-সুবিধা জানতে চায় হাই কোর্ট

অনলাইন ডেস্ক / ৪৯৬ Time View
Update : সোমবার, ১ নভেম্বর, ২০২১

বাংলাদেশের কারাগারগুলোতে থাকা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১ হাজার ৯৮৭ আসামির সুযোগ-সুবিধার লিখিত প্রতিবেদন আগামী ১৪ নভেম্বরের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। গতকাল বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। এর আগে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামিদের নিয়ে কারা অধিদফতর থেকে পাঠানো তথ্য আদালতে জানান আইনজীবী। এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর কারাগারগুলোতে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত হয়ে কনডেম সেলে থাকা সব বন্দীর তথ্য চায় হাই কোর্ট। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির জানান, দেশের কারাগারগুলোতে মৃত্যুদন্ডাদেশ মাথায় নিয়ে কনডেম সেলে বন্দী রয়েছেন মোট ১ হাজার ৯৮৭ জন কয়েদি। এর মধ্যে পুরুষ ১ হাজার ৯৩৩ এবং নারী ৫৪ জন। তবে দেশে মোট কনডেম সেলের সংখ্যা ২ হাজার ৫৯৯টি। ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ হিসাব দিয়েছে কারা অধিদফতর। গত ৩ সেপ্টেম্বর মামলা চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হওয়ার আগে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামিকে কনডেম সেলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে রিট দায়ের করা হয়। চট্টগ্রাম কারাগারে কনডেম সেলে থাকা জিল্লুর রহমানসহ মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত তিন বন্দীর পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির এ রিট দায়ের করেন। রিট আবেদনকারীরা হলেন- চট্টগ্রাম কারাগারের কনডেম সেলে থাকা সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সিলেট কারাগারে থাকা সুনামগঞ্জের আবদুর বশির ও কুমিল্লা কারাগারে থাকা খাগড়াছড়ির শাহ আলম। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত এ তিন আসামির আপিল হাই কোর্ট বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে। আইনজীবী শিশির মনির জানান, বিচারিক আদালতে মৃত্যুদন্ডাদেশ ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক সাজা কার্যকর করার আইনগত কোনো বিধান নেই। মৃত্যুদন্ডাদেশ কার্যকর করতে কয়েকটি আবশ্যকীয় আইনগত ধাপ অতিক্রম করতে হয়। প্রথমত, ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা মতে, মৃত্যুদন্ড কার্যকর করতে হাই কোর্ট বিভাগের অনুমোদন নিতে হবে। একই সঙ্গে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪১০ ধারা অনুযায়ী হাই কোর্ট বিভাগে আপিল দায়েরের বিধান রয়েছে। দ্বিতীয়ত, হাই কোর্ট বিভাগ মৃত্যুদন্ড বহাল রাখলে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি সাংবিধানিক অধিকারবলে আপিল বিভাগে সরাসরি আপিল দায়ের করতে পারেন। তৃতীয়ত, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১০৫ অনুযায়ী আপিলের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের আইনগত সুযোগ রয়েছে। সর্বোপরি, মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪৯ এর অধীন রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে পারেন। রাষ্ট্রপতি ওই ক্ষমার আবেদন নামঞ্জুর করলে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার আইনগত বৈধতা লাভ করে। কিন্তু বাংলাদেশে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদন্ড ঘোষণার পরই সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে নির্জন কনডেম সেলে রাখা হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

ফেসবুকে আমরা