শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী এবং তাদের মদদদাতাদের বিরুদ্ধে দলীয় প্রধানের নির্দেশে তালিকা তৈরি করা হচ্ছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, অপকর্ম করলে কেউ রেহাই পাবে না। শাস্তি তাদের পেতেই হবে।
বিএনপি দলীয়ভাবে ইউপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। এ পরিস্থিতি অনেক স্থানেই আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হচ্ছেন। এ তালিকায় সদস্যও রয়েছেন। এর বাইরে ইউপি নির্বাচন কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের মনোনীত ও বিদ্রোহী প্রার্থীর লোকদের মধ্যে প্রায় প্রতিদিনই সংঘাত, প্রাণহানি ঘটছে। এই পরিস্থিতিতে দলের সাধারণ সম্পাদকের কাছ থেকে হুঁশিয়ারি এল।
বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ধর্ম,সাম্প্রদায়িকতা আর ভারত বিরোধিতা বিএনপির রাজনৈতিক ট্রাম্পকার্ড। আওয়ামী লীগকে ভোট দিলে মসজিদের আজান বন্ধ হয়ে যাবে, উলুধ্বনি বাজবে—এসব বক্তব্য কারা রেখেছিল? এখন আর এসবে কেউ কান দেয় না। বিএনপির স্বার্থান্বেষী, ক্ষমতার রাজনীতি নতুন প্রজন্মের কাছেও স্পষ্ট।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন,দেশের মানুষ ভালো করেই জানে বাংলাদেশের জন্মের পর থেকে আজ পর্যন্ত এ দেশে কারা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করেছে। কারা ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে। বিএনপি ক্ষমতায় যেতে এবং ক্ষমতা অবৈধভাবে ধরে রাখতে সাম্প্রদায়িক শক্তির ওপর নির্ভর করেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
দেশে ধর্মীয় উগ্রবাদ সৃষ্টি হয়েছে বিএনপির আমলে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ৬৩ টি জেলায় একই সঙ্গে বোমা হামলা হয়েছিল। বিএনপির শাসনামলে শায়খ আবদুর রহমান, বাংলা ভাইরা যে উগ্রপন্থার জন্ম দিয়েছিল, তার প্রশ্রয়দাতা আর আশ্রয়দাতা ছিল বিএনপি।
আওয়ামী লীগ জনগণের রাজনীতি করে বলেই জনগণ আওয়ামী লীগের প্রাণ শক্তি, অপরদিকে যারা ক্ষমতাকে নিজের ভাগ্য বদলের চাবি মনে করে এবং দেশে বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়ে ষড়যন্ত্র, হত্যা,সন্ত্রাস নির্ভরতা রাজনীতি করে তাদের জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।