আদালত একই সঙ্গে মামলাগুলো আগামী এক বছরের মধ্যে নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিয়েছেন। মঙ্গলবার শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ (এসকে) মোরশেদ। জয় গোপালের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির। এর আগে গত ১৮ আগস্ট জয় গোপাল সরকারকে পৃথক চার মামলায় জামিন দেন হাইকোর্ট। ২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে ঢাকার গেণ্ডারিয়ায় এনু-রুপনের বাড়িতে অভিযান চালায় র্যাব। তাদের বাসায় টয়লেটে সোনার কমোড পাওয়া যায়। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা ও স্বর্ণালংকার জব্দ করা হয়। এরপর ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের কর্মচারী আবুল কালাম ও এনুর বন্ধু হারুন অর রশিদের বাসায় অভিযান চালানো হয়। ওই অভিযানে পাঁচ কোটি পাঁচ লাখ টাকা, আট কেজি স্বর্ণালংকার ও ছয়টি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করে র্যাব। এর ধারাবাহিকতায় গত বছরের ১৩ জানুয়ারি এনু ও রুপনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এতে জয় গোপাল সরকারের নাম উঠে আসায় একই বছরের ১৪ জুলাই গ্রেফতার করা হয় তাকে। এর পর ২০১৯ সালে গেণ্ডারিয়া, সূত্রাপুর ও ওয়ারী থানায় হওয়া পৃথক চার মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। জয় গোপাল সরকার অবসরে গিয়ে পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, পরে ক্যাশিয়ারের দায়িত্ব পালন করছিলেন। ২০১৪ সালে ক্লাবটির সাধারণ সম্পাদক হন।