রংপুরের পীরগাছা উপজেলায় মোট ৯টি ইউনিয়ন থাকলেও ১নং কল্যানী ইউনিয়ন রংপুর মেট্রো পলিটন এর মাহিগঞ্জ থানার অধীনে চলে যাওয়ায় সেই ইউনিয়নে প্রথম ধাপেই নির্বাচন হয়ে গেছে। অবশ্য সেখানেও নৌকার প্রার্থী নুর আলম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে। আর দিতীয় ধাপের নির্বাচনে নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচিত হলেন ৩জন এ নিয়ে পীরগাছা’র (সাবেক বর্তমান ইউপি মিলে) ৯ টি ইউপি তে নৌকার চেয়ারম্যান আসন সংখা দারালো ৪ এ। সাবেক ইউপি ও বর্তমান ইউপি তে যারা হলেন আওয়ামী লীগের নৌকার মনোনীত চেয়ারম্যান। ( ১) কল্যানী ইউপি-মোঃ নুর আলম (সাবেক ইউপি) (২) পারুল ইউপি- আলহাজ্ব তোফাজ্জল হোসেন। (৩) ইটাকুমারী ইউপি- আবুল বাশার। (৪) অন্নদানগর ইউপি- আমিনুল ইসলাম। অপরদিকে বর্তমান বিরোধী দলীয় জাতীয় পার্টী থেক ১ জন কৈকুড়ি ইউপি থেকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন -নুর আলম। এবং বাংলাদেশ জামাতে ইসলামী দল থেকে ১ জন তাম্বুলপুর ইউপি থেকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন-বজলুর রশিদ মকুল। বিএনপি ইউপি নির্বাচনে দলীয় প্রতিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও তাদের মৌখিক ভাবে মনোনিত প্রার্থী দেরকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দার করিয়ে দেন,এবং তাহারা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এরা হলেন (১) পীরগাছা সদর ইউপি থেকে- মোস্তাফিজুর রহমান রেজা। (২) ছাওলা ইউপিতে -মোঃ নজির হোসেন (৩) কান্দি ইউপিতে- আব্দুস ছালাম আজাদ জুয়েল। পীরগাছা উপজেলা নির্বাচন অফিস ও উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় সূত্রে এনাদের বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। পীরগাছা উপজেলার বর্তমান ৮ ইউনিয়নের মধ্যে পাঁচটিতে নৌকার পরাজয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মিলন বলেন, ‘এই ইউপি নির্বাচনে আমরা দলীয় নেতাকর্মীরা নির্বাচনী উঠান বৈঠকসহ ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট চেয়েছি নিরলসভাবে। জনগণ নৌকা প্রতীক ভালোবাসেন এবং সম্মান করেন। কিন্তু এবারে এই উপজেলায় যারা নৌকা প্রতীক পেয়েছেন, তাদের মধ্যে অনেকে স্থানীয়ভাবে জনপ্রিয় ছিলেন না। আবার জনপ্রিয়রা মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হন। তাই এখানে কয়েকটি ইউনিয়নে আমাদের কিছু ভোটের ব্যবধানে পরাজয় হয়েছে।’