• সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:৩৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম
বিআরডিবি কুমিল্লা জেলা সিবিএ’র নির্বাচন অনুষ্ঠিত সংস্কার ও নির্বাচনের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই: ফখরুল জাহানারা ইসলাম ইন্তেকালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের শোক প্রকাশ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেছেন নবীন উদ্যোক্তারা শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার করা হবে : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা বাবদ ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার এনজিএস সিমেন্ট কোম্পানির ছত্র ছায়ায় এয়ার মোহাম্মদের বিরুদ্ধে জোরপুর্বক জমি দখলের অভিযোগ : আমি আমার জন্য ভোট চাইতে আসিনি আমি ধানের শীষ মার্কায় ভোট চাইতে এসেছি–মোবাশ্বের আলম ভুঁইয়া আওয়ামী সরকার আমলে মানুষের অধিকার হরণ হয়েছিল, গণতন্ত্র ধ্বংস হয়েছিল- ওয়াকিল হোসেন (বগা) চকরিয়ায় স্বামীর ছুরিকাঘাতে স্ত্রীর মৃত্যু, মুমূর্ষু অবস্থায় শাশুড়ি

শোকজ করা হবে সেই বিচারককে

অনলাইন ডেস্ক / ৪৯২ Time View
Update : রবিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২১
ফাইল ছবি

আইনমন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক বিচারক মোছা. কামরুন্নাহারের বক্তব্যকে অসাংবিধানিক ও বেআইনি উল্লেখ করে বলেন, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধান বিচারপতির চিঠি পেলে  এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। এরপর আইন অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্ট তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেবে।

ধর্ষণ ঘটনার ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলে পুলিশকে মামলা না নেওয়ার পর্যবেক্ষণ দেওয়ার নির্দেশের বিপরীতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রোববার (১৪ নভেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইনমন্ত্রী এ কথা জানান।

রোববার (১৪ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার ও মুখপাত্র মোহাম্মদ সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিচারক কামরুন্নাহারের ফৌজদারি বিচারিক ক্ষমতা সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করতে সুপ্রিম কোর্ট থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের সঙ্গে আলোচনাক্রমে ওই বিচারককে আজ সকাল ৯টা ৩০ মিনিট থেকে আদালতে না বসার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানায় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।

এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের চিঠি এখনও পাননি বলেও জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী।

এদিকে প্রত্যাহারের আদেশ পেয়ে আজ এজলাসে বসেননি বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার। আদালত সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আদালতে পৌঁছান বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার। আদালতে সকাল সাড়ে ১০টায় বিচারকাজ শুরু হয়। তবে বিচারকাজ শুরু হওয়ার আগেই খাসকামরায় বসেই উচ্চ আদালতের নির্দেশনা পান তিনি। এরপর আর এজলাসে বসেননি।

গত বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) একটি ধর্ষণ মামলায় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচজনকে খালাস দেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহারের আদালত।

মামলার দুই ভিকটিম আগে থেকেই সেক্সুয়াল কাজে অভ্যস্ত। তারা স্বেচ্ছায় হোটেলে গেছেন। সেখানে গিয়ে সুইমিং করেছেন বলে বিচারক রায়ের পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করেন। তিনি আরো বলেন, ঘটনার ৩৮ দিন পর তারা বললেন, ‘আমরা ধর্ষণের শিকার হয়েছি’। অহেতুক তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রভাবিত হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছেন। এতে আদালতের ৯৪ কার্যদিবস নষ্ট হয়েছে।

এছাড়া তিনি বলেন, এরপর থেকে পুলিশকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছি।  ধর্ষণের ৭২ ঘণ্টা পর যদি কেউ মামলা করতে যায় তা না নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

ফেসবুকে আমরা