ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও মহিলা সদস্য মিলে ৩ জনকে ভোট দেওয়ার নিয়ম আছে। সেই হিসাবে প্রিজাইটিং অফিসারের স্বাক্ষরযুক্ত ভোটের ব্যালট দায়িত্বে থাকা পোলিং অফিসারগণ ভোটারদের প্রদান করেন। ওই পৃথক ব্যালটে ভোটররা তিনজন জনপ্রতিনিধিকে নির্বাচিত করে থাকেন। কিন্তু গত ১১ নভেম্বর চট্রগ্রাম সীতাকুন্ড উপজেলার ৬নং বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদ অনুষ্ঠিত নির্বাচনে এক কেন্দ্রে ভোটার হিসাব ফরমে ব্যাপক গড়মিল পাওয়া গেছে। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে নানা প্রশ্ন দেখা দেয়। যার ফলে সরকার নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠ নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়ন ৮নং কেন্দ্র দক্ষিণ বাঁশবাড়ীয়া নাথপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিক অস্থায়ী ভোট কেন্দ্রে ফরম ঞ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগণের ভোট গণনা বিবরণী চেয়ারম্যান প্রার্থী ফরমে দেখা যায় মোট ভোটার উপস্থিতি সংখ্যা ১১৪৭, একই কেন্দ্রে নারী উপস্থিতি সংখ্য ১০৮৩ ও পুরুষ ভোটার উপস্থিতি ১০৬১। অথচ নির্বাচনী বিধি মোতাবেক উপস্থিতির সংখ্যা একই হওয়া বাধ্যতামূলক। ভোটারা তিনটি পৃথক ব্যালটে ভোট দিয়ে থাকেন। এই কেন্দ্রে প্রিজাইটিং অফিসারের দায়িত্বে থাকা সীতাকুন্ড বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. দিদারুল আলম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। হিসাব করে দেখে জানাতে পারবো। নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা উপজেলা রিটানিং কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, কেন্দ্রে চেয়ারম্যান, মেম্বার ও মহিলা মেম্বারের ভোটের ব্যালট এক সাথে দেওয়া হয়ে থাকে। ফলে গণনা বিবরণী ফরমে উপস্থিতির সংখ্যা একই থাকার কথা। কী কারণে উপস্থিতির সংখ্যা গড়মিল হলো তা তদন্ত করা হবে। চট্টগ্রাম সিনিয়র জেলা নির্বাচনী অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ব্যালটের কোন অনিয়মের বিষয়ে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে এই জাতীয় ঘটনা যদি ঘটে থাকে তা তদন্তে প্রমাণিত হয় তাহলে ওই কেন্দ্রে পুণরায় ভোট হবে। প্রিজাইটিং অফিসার নির্বাচনী বিধিমতে অপরাধী সাব্যস্থ হবেন। গত ১১ নভেম্বর বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের মনোনীত বর্তমান চেয়ারম্যান শওকত আলী জাহাঙ্গীর ও একই দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আরিফুল আলম চৌধুরী (রাজু)। দুইটি কেন্দ্রে ব্যাপক সংঘর্ষ ও গোলাগুলির কারণে নির্বাচন স্থগিত করেন প্রিজাইটিং অফিসার।