আগের দিন হাকিম আহমেদকে সঙ্গী করে মিশ্র দ্বৈত ইভেন্টের ফাইনালে ওঠেন দিয়া। আজ সকাল থেকেই বেশ আত্মবিশ্বাসী ছিলেন তিনি। ব্রোঞ্জ জেতার পর দিয়ার কণ্ঠে ছিল উচ্ছ্বাস, ‘আমাদের আত্মবিশ্বাস ছিল যে আমরা পারব। এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের মতো বড় আসরে এই প্রথম কোনো পদক জিতল বাংলাদেশ। আমরা খুব খুশি।’
ম্যাচ শুরুর আগে একটু স্নায়ুচাপে ভুগছিলেন বিউটি রায়। শুটিং এরিয়ায় দাঁড়িয়ে চেস্ট গার্ড নিয়ে ভীষণ অস্বস্তিতে ভুগছিলেন তিনি। কিন্তু কোচ মার্টিন ফ্রেডরিখ তাঁকে সাহস জুগিয়েছেন। ম্যাচের পর সেটাই বলছিলেন বিউটি, ‘ম্যাচের আগে যখন অনুশীলন করছিলাম, তখন আমার চেস্ট গার্ডে সমস্যা হচ্ছিল। আমি বারবার কোচের দিকে তাকাচ্ছিলাম। কোচ আমাকে বলেন, ভয় পাওয়ার কিছু নেই, এখনো সময় আছে। চেস্ট গার্ড বদলে আবারও তির মেরেছি। কোচের কাছ থেকেই আমরা সব আত্মবিশ্বাস পেয়েছি। কোচ সাহস না দিলে এত দূর আসা সম্ভব হতো না।’
নাসরিন আক্তারের জন্য এই পদক বিশেষ কিছু, ‘আমরা এই একটা গেমসে পদকের জন্য টানা এক বছর কঠিন অনুশীলন করেছি। কোনো ছুটি পাইনি আমরা। সেই কষ্ট আজ সার্থক হয়েছে। এই প্রথম এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে কোনো পদক জিতলাম। শুধু ম্যাচ আর অনুশীলনে নজর দেওয়ায় এখানে তিনজনই ভালো করতে পেরেছি।’