স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটায় দুধকুড়ি গ্রামে একটি অটোরিকশায় করে রাফিউল হাসানের পক্ষে মাইকিং চলছিল। ওই সময় এমরানের সমর্থনে তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা মিছিল করছিলেন। মিছিলের সময় ওই অটোরিকশায় ধাক্কা লাগে। পরে বিষয়টি রাফিউলকে জানানো হয় ।
এর জেরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রাত সাড়ে নয়টায় পাঁচ-ছয়টি মোটরসাইকেল নিয়ে এসে দুধকুড়ি গ্রামে গিয়ে এমরানের নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করেন। সে সময় নির্বাচনী কার্যালয়ে থাকা স্বাধীন নামের এক কর্মীকে মারধর করা হয়। পুলিশ খবর পেয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
স্বাধীন বলেন, আওয়ামী লীগের লোকজন তাঁকে মারধর করেছেন। তাঁকে ভয়ভীতিও দেখানো হয়েছে।
এমরান হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী তাঁর কর্মী-সমর্থকদের হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। মঙ্গলবার রাতে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর নেতৃত্বে তাঁর নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করা হয় এবং তাঁর কর্মীকে মারধর করে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়। এ ঘটনায় এমরানের কর্মী-সমর্থকেরা আতঙ্কে রয়েছেন।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী রাফিউল বলেন, দুধকুড়ি গ্রামে এমরানের লোকজন তাঁর নির্বাচনী প্রচারণার কাজে বাধা দিয়েছেন। বিদ্রোহী প্রার্থীর কোনো জনসমর্থন নেই জেনে তিনি নিজেই তাঁর লোকজন দিয়ে নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করে তাঁর (রাফিউলের) ওপর দায় চাপাবার চেষ্টা করছেন।
বদলগাছি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার রাতে দুধকুড়ি গ্রামে দুই প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছে।