• মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
‘একস্ট্রাঅর্ডিনারি আরব অ্যান্ড ইসলামিক সামিট’ : বাংলাদেশের নেতৃত্বে তৌহিদ হোসেন শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাজ্যের সহায়তা চেয়েছেন রিজওয়ানা সরকারের তিন মাস পূর্তি : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উল্লেখযোগ্য অর্জন আজারবাইজানের বাকুতে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা উ. কোরিয়া ও রাশিয়ার প্রতিরক্ষা চুক্তি আইনে পরিণত প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় তিন বিশেষ সহকারী নিয়োগ মাঠে নামতেই পারলেন না আ. লীগ, জিরো পয়েন্টে দিনভর যা হলো কপ-২৯ সম্মেলনে যোগ দিতে আজ আজারবাইজান যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা উপদেষ্টাদের দায়িত্বে রদবদল পর , কে কোন মন্ত্রণালয়ে বাসস পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান হলেন ইত্তেফাকের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার আলদীন

বিশ্বে কমেছে ধূমপায়ী, তবুও মৃত্যু বছরে ৮০ লাখ

Reporter Name / ৩৮৪ Time View
Update : বুধবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২১

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গত বছর বিশ্বের ৩৬ দশমিক ৭ শতাংশ পুরুষ ও ৭ দশমিক ৮ শতাংশ নারী তামাকজাত পণ্য ব্যবহার করেছেন। তবে সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় হলো, এর মধ্যে ১৩ থেকে ১৫ বছর বয়সী ৩ কোটি ৮০ লাখ কিশোর-কিশোরীও তামাকজাত পণ্যে আসক্ত।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্বে ধূমপায়ীর সংখ্যা ১২৭ কোটিতে নেমে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশ্বজুড়ে জনসংখ্যা বাড়লেও সাত বছরে বিশ্বের ধূমপায়ীর সংখ্যা পাঁচ কোটি কমবে। ডব্লিউএইচওর এ প্রতিবেদনে অবশ্য ইলেকট্রনিক সিগারেট ব্যবহারকারীদের হিসাবে ধরা হয়নি।

প্রতিবেদনে আরও দেখা যাচ্ছে, ২০০০ সালে ১৫ বছরের বেশি বয়সী বিশ্বের এক–তৃতীয়াংশ মানুষ তামাকজাত পণ্য ব্যবহার করতেন। তবে ২০২৫ সালের মধ্যে এ সংখ্যা আরও কমবে। ওই সময়ের মধ্যে ১৫ বছরের বেশি বয়সী জনসংখ্যার এক–পঞ্চমাংশ তামাকে আসক্ত থাকবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস বলেছেন, প্রতিবছর কম লোকের তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার করতে দেখাটা খুবই উৎসাহব্যঞ্জক।

তেদরোস আধানোম আরও বলেন, ‘আমাদের এখনো বহুদূর যেতে হবে। তামাক কোম্পানিগুলো তাদের প্রাণঘাতী পণ্য বিক্রি করে অনেক মুনাফা করে। এ জন্য এর পক্ষে তারা সাফাই গায়। এ কাজে হাতে থাকা প্রতিটি কৌশল ব্যবহার করতে থাকবে তারা।’

বছরে ৮০ লাখের বেশি মৃত্যু

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, তামাকজাত পণ্য ব্যবহারের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে ৮০ লাখের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। তাঁদের বেশির ভাগই সরাসরি তামাক ব্যবহার করেন। তবে এর মধ্যে ১২ লাখ মানুষ সরাসরি ধূমপান না করে শুধু ধূমপায়ীদের সংস্পর্শে থাকার কারণে প্রাণ হারাচ্ছেন।

মঙ্গলবারের ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার কমে যাওয়ার পরও কিছু সময় ধরে তামাক ব্যবহারের কারণে বার্ষিক মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। এর কারণ যাঁরা তামাক সরাসরি ব্যবহার করেন, তাঁদের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে তামাকজাত পণ্যের ধোঁয়ার সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিরা ধীরে ধীরে প্রাণ হারাচ্ছেন।

২০১০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে তামাকের ব্যবহার কমিয়ে আনার সঠিক পথে থাকার কারণে ওই প্রতিবেদনে ৬০টি দেশের প্রশংসা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ডব্লিউএইচও সবশেষ বিশ্বজুড়ে যখন তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল, তখন এমন দেশের সংখ্যা ছিল ৩২টি।

ডব্লিউএইচওর স্বাস্থ্য প্রচার বিভাগের প্রধান রুইডিগার ক্রেচ এ সম্পর্কে বলেন, ‘আমরা অনেক দেশেই দারুণ অগ্রগতি দেখছি, কিন্তু এ সাফল্য ভঙ্গুর।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

ফেসবুকে আমরা