ফাইজারের প্রধান নির্বাহী আলবার্ট বোরলা বলেছেন, সম্ভাব্য এই ওষুধ রোগীর হাতে তুলে দেওয়ার জন্য তাঁরা তাঁদের দিক থেকে প্রয়োজনীয় প্রচেষ্টা নিয়ে যত দ্রুত সম্ভব অগ্রসর হচ্ছেন। তাঁরা এফডিএসহ বিশ্বের অন্যান্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে তাঁদের আবেদনের পর্যালোচনার বিষয়ে কাজ করার ব্যাপারে উন্মুখ।
ফাইজারের এক মুখপাত্র বলেছেন, টিকা না নেওয়া ও উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের ওপর ওষুধটির পরীক্ষা চালিয়ে যে তথ্য পাওয়া গেছে, তা এফডিএর কাছে করা আবেদনের সঙ্গে জমা দেওয়া হয়েছে। ওষুধটি কাদের জন্য নির্দেশিত হবে, কীভাবে তা ব্যবহার করা যেতে পারে, এসব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে এফডিএ।
নিউইয়র্কভিত্তিক ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, তারা যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়াসহ বিশ্বের বেশ কিছু দেশে ওষুধটির জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরও আবেদন জমা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।
ফাইজার দাবি করেছে, তাদের প্যাক্সলোভিড নামের এই বড়ি সম্ভাবনাময়। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে দেখা গেছে, এই বড়ি হাসপাতালে ভর্তি বা প্রাপ্তবয়স্কদের মৃত্যুর ঝুঁকি ৮৯ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পারে।
গতকাল ফাইজারের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা দরিদ্র দেশগুলোকে কম খরচে করোনার এই বড়ি তৈরির অনুমতি দেবে।
গ্লোবাল মেডিসিন পেটেন্ট পুলের (এমপিপি) সঙ্গে ফাইজারের একটি চুক্তি সই করেছে। এই চুক্তির ফলে বিশ্বের নিম্ন ও মধ্যম আয়ের ৯৫টি দেশে কম খরচে করোনার ওষুধ পাওয়া যাবে। এসব দেশে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৫৩ শতাংশ বসবাস করে।
জেনেভাভিত্তিক এমপিপি হলো জাতিসংঘ–সমর্থিত একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা, যা নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর জন্য ওষুধের উন্নয়নের সুবিধার্থে কাজ করে।