প্রতিবেদনে বলা হয়, ১২১২ সালে সর্বশেষ এমন ঘটনার সাক্ষী হয়েছিলো নিউজিল্যান্ডবাসী। শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ৮টা ২০ মিনিটে শুরু হবে এই চন্দ্রগ্রহণ।
এই চন্দ্রগ্রহণ নিউজিউল্যান্ড ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে দেখা যাবে। যা শতাব্দীর দীর্ঘতম চন্দ্রগ্রহণ বলে দাবি করছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা। তবে এটা আংশিক চন্দ্রগ্রহণ, পূর্ণগ্রাস নয়। ঢাকা পড়বে চাঁদের ৯৭ শতাংশ।
নাসার তরফে জানানো হয়েছে, চন্দ্রগ্রহণটি চরম অবস্থায় পৌঁছাবে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২ টায়।
নিউজিল্যান্ডের মহাকাশবীদ রব ডেভিডসন জানান, পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ দুই থেকে তিন ঘণ্টা স্থায়ী হয়। যা খুবই সাধারণ। কিন্তু আংশিক চন্দ্রগহণ এতো লম্বা সময় থাকা বেশ বিরল। এমন চন্দ্রগ্রহণে চাঁদ পুরো রক্তলাল হয়ে যায়। শুক্রবার রাতেr সেই চন্দ্রগ্রহণ দেখে মনে হবে চাঁদ লাল হয়ে গেছে।
নাসা জানায়, চন্দ্রগ্রহণটি সব মিলিয়ে ৩ ঘণ্টা ২৮ মিনিট ২৩ সেকেন্ড থাকবে। যা ২০০১ থেকে ২১০০ সালের মধ্যে হতে যাওয়া সব চন্দ্রগ্রহণের মধ্যে দীর্ঘতম। বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ ছিল ২৬ মে। এর পরবর্তী চন্দ্রগ্রহণ হবে ২০২২ সালের ১৬ মে। চলতি শতকে সব মিলিয়ে ২২৮টি চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে পৃথিবী থেকে।
আশ্চর্য এই মহাজাগতিক দৃশ্য সবচেয়ে ভাল দেখা যাবে উত্তর আমেরিকা থেকে। আমেরিকার ৫০টি প্রদেশ ও মেক্সিকো থেকে গ্রহণের প্রতিটি মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে পারবেন মহাকাশপ্রেমীরা। এছাড়াও দক্ষিণ আমেরিকা, পূর্ব এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের একাংশ থেকে সেই চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে।
ওইদিন পৃথিবী চলে আসবে সূর্য ও চাঁদের মাঝখানে। পৃথিবীর ছায়া চাঁদের উপরে পড়ায় শুরু হবে গ্রহণ। কেবল ১৯ তারিখ নয়, টাইম জোনের হিসাবে পৃথিবীর কিছু দেশে গ্রহণ দেখা যাবে ১৮ তারিখে।