বিষয়টি নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ক্রীড়াঙ্গনে হইচই চলছে। পেইনের দিকে আঙুল তুলেছেন অনেকেই। শুধু নেতৃত্বই হারাননি; তীব্র সমালোচনাও হজম করতে হচ্ছে তাকে।
তবে ক্যারিয়ারের এমন দুঃসময়ে সহধর্মিণী বনিকে পাশে পেয়েছেন টিম পেইন। অ্যাশেজ সিরিজের আগে পুরোনো ঘটনা সামনে আসার কোনো মানে খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি।
তার মতে, পেইনকে এভাবে যন্ত্রণার মধ্যে ফেলে দেওয়া তার স্বামীর প্রতি ঘোরতর অন্যায়।
দ্য সিডনি টেলিগ্রাফকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বনি বলেছেন, ‘পেইনের জন্য আমার অনেক খারাপ লাগছে। সত্যি বলতে কি, তার নেতৃত্ব ছাড়ার বিষয়টি আমার হৃদয় ভেঙে দিয়েছে। এটা দুঃখজনক। কারণ আমরা দুজনে ২০১৮ সালের ঘটনাটি তো সামলে নিয়েছি। ওই ঘটনা আমাদের সম্পর্ক আরও গভীর করতে সাহায্য করেছে। আমরা তো কয়েক বছর আগেই সেই ঘটনার সমাধান করে ফেলেছিলাম। তবে কেন সেই ঘটনা আবার সামনে নিয়ে আসা এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা! আমি হতাশ হয়েছি। আবার এটাকে সামনে নিয়ে আসাটা অন্যায়। এ ঘটনার জন্য তাকে কেন নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়াতে হবে? আমার কাছে এটা অন্যায় মনে হয়েছে। ’
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে তাসমানিয়া ক্রিকেটের এক নারী কর্মীকে কিছু যৌন উত্তেজক বার্তা ও অশ্লীল ছবি পাঠিয়েছিলেন টিম পেইন। সেই নারী কর্মী বিষয়টি সে সময় ক্রিকেট তাসমানিয়া ও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে জানান। এটা নিয়ে তদন্তও হয়। কিন্তু ক্রিকেট তাসমানিয়া ও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কারও কাছেই তখন মনে হয়নি যে পেইন আচরণবিধি ভেঙেছেন। পেইনকে তারা কোনো ধরনের শাস্তি না দিয়েই ছেড়ে দেয়।
সম্প্রতি সেই ঘটনা আবার সামনে নিয়ে আসে অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম নিউজ কর্প। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমগুলোতে বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন ছাপানোর পর একপর্যায়ে পেইন অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।