আসছে আগামী ২৮ নভেম্বর গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ১০ নং শান্তিরাম ইউনিয়ন পরিষদে ৩য় ধাপের নির্বাচন।
উক্ত নির্বাচনে অত্র ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী ১৩ জন।
এর মধ্যে দলীয় প্রার্থী নৌকা ১ জন,লাঙ্গল প্রার্থী ১ জন, জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী ১ জন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ১০ জন। শান্তিরাম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের তুলনায় স্বতন্ত্র প্রার্থীরা অনেক এগিয়ে। শান্তিরামের ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের চেয়ারম্যান প্রার্থী ৩ জন,৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের চেয়ারম্যান প্রার্থী ৬ জন এবং ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের প্রার্থী ৪ জন। ৫ নং ওয়ার্ডের দলীয় প্রার্থী নৌকা প্রতীক বিপ্লব খন্দকার,৮ নং ওয়ার্ডের দলীয় প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীক রবিউল ইসলাম ও জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী চশমা প্রতীক বদরুল আমিনও ৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। এ পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারণায় এগিয়ে ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বর্তমান চেয়ারম্যান ছামিউল ইসলাম। শান্তিরাম ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজার,মোড় এবং গ্রামগুলো ঘুরে শান্তিরাম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের হালচাল নিয়ে অনেক ভোটারের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, আমরা এবারের নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীকে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চেয়েছিলাম কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় শান্তিরামে দলীয় প্রার্থীরা জনবিচ্ছিন্ন, জনগনের সাথে তাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই বললেই চলে। তৃণমূল ভোটাররা বলছেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি জনবিচ্ছিন্ন দলীয় প্রার্থীকে এবার চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চাই না। আমরা এবারের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে চেয়ারম্যান হিসেবে পেতে চাই। সে হিসাব-নিকাশ কষলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বর্তমান চেয়ারম্যান ছামিউল ইসলাম,দোয়াত কলম মার্কা অনেক এগিয়ে রয়েছে। অনেকের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন,ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কেন দলীয় প্রতীকে নির্বাচন ? দলীয় প্রার্থী হওয়ার কারণে তৃণমূল নেতা কর্মীদের মধ্যে কলহ বিবাদ বেড়ে গেছে বলেও তারা মতামত দেন। শান্তিরাম ইউনিয়নের পরান মৌজায় ভাটিয়ার মোড়ে কয়েক জনের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, দল,মত নির্বিশেষে আমরা সৎ,যোগ্য ও জনবান্ধব প্রার্থীকেই নির্বাচিত করতে চাই। বিগত চেয়ারম্যানগুলোর আমলে দৃশ্যমান কোন উন্নয়ন হয়নি,তারা প্রত্যেকে কথার ফুলঝঁড়ি সাজিয়ে নিজেকে কৃত্রিমতার দিকে আত্মপ্রকাশ করে ভোট নিয়ে নির্বাচিত হয়ে শান্তিরামের উন্নয়ন তরান্বিত না করে নিজের উন্নয়ন তরান্বিত করেছেন। সে হিসেবে বর্তমান চেয়ারম্যানকেই আমরা আবারও চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চাই। শান্তিরামের কালিতলা,কালিয়ারছিড়া,হরমোহন ও ক্ষুদিরামের অনেকের সঙ্গে কথা হলে তারা যদিও বলতে ইচ্ছুক নয় তবুও অনেকে বলেছেন, বর্তমান চেয়ারম্যান ছামিউল ইসলাম একজন জনবান্ধব ও সমাজের উপেক্ষিত লোকদের পাশে দাঁড়ানো মানুষ। তারা মন্তব্য করেন এবারের নির্বাচন যদি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় তাহলে বর্তমান চেয়ারম্যান এর সঙ্গেই প্রতিদ্বন্দ্বীতা হবে। আবার বিভিন্ন বাজার ও মোড়গুলোতে ভোটাররা শান্তিরাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে বর্তমান চেয়ারম্যান ছামিউল ইসলাম কে সমর্থন দিবেন বলেও একুশে সংবাদকে জানান। বর্তমান চেয়ারম্যান ছামিউল ইসলাম এর জনপ্রিয়তার এ তথ্যগুলো সম্পর্কে মোবাইল ফোনে তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন,আমি অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছি। শান্তিরাম ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনা করতে গিয়ে শান্তিরামের প্রতিটি গ্রাম,পাড়া ও ওয়ার্ডগুলোর জনগন নিয়ে আমি কাজ করেছি,সুখে দুঃখে তাদের পাশে ছিলাম মর্মে তারা আমাকেই চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায়। তিনি বলেন,আমি শান্তিরাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হলে আমার অসমাপ্ত কাজগুলো করবো। তিনি আরও বলেন, আমি কথার ফুলঝঁড়িতে বিশ্বাসী নই,দৃশ্যমান কিছু উন্নয়নমূলক কাজ করার পরিকল্পনা আমার রয়েছে এবং শান্তিরামবাসী যদি আমাকে তাদের মূল্যবান ভোট প্রদান করে আবারও নির্বাচিত করেন তাহলে আমি উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবো-ইনশাআল্লাহ।