• মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
‘একস্ট্রাঅর্ডিনারি আরব অ্যান্ড ইসলামিক সামিট’ : বাংলাদেশের নেতৃত্বে তৌহিদ হোসেন শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাজ্যের সহায়তা চেয়েছেন রিজওয়ানা সরকারের তিন মাস পূর্তি : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উল্লেখযোগ্য অর্জন আজারবাইজানের বাকুতে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা উ. কোরিয়া ও রাশিয়ার প্রতিরক্ষা চুক্তি আইনে পরিণত প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় তিন বিশেষ সহকারী নিয়োগ মাঠে নামতেই পারলেন না আ. লীগ, জিরো পয়েন্টে দিনভর যা হলো কপ-২৯ সম্মেলনে যোগ দিতে আজ আজারবাইজান যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা উপদেষ্টাদের দায়িত্বে রদবদল পর , কে কোন মন্ত্রণালয়ে বাসস পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান হলেন ইত্তেফাকের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার আলদীন

শিগগির করোনা টিকা উৎপাদনে যাচ্ছে বাংলাদেশ : সালমান এফ রহমান

Reporter Name / ৪৪৪ Time View
Update : মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২১

শিগগির বাংলাদেশে করোনা টিকা উৎপাদন শুরু হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান (সালমান এফ রহমান)। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

সালমান এফ রহমান বলেন, ‘ইনসেপ্টা চায়নার একটি কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করছে। তাদের সঙ্গে টার্ম ও কন্ডিশন চূড়ান্ত হলে ইনসেপ্টা উৎপাদন শুরু করতে পারবে। বেক্সিমকোও টিকা উৎপাদনের কার্যক্রম শুরু করেছে। আশা করছি, আগামী চার থেকে ছয় মাসের মধ্যে আমরা টিকা উৎপাদনের কার্যক্রম শেষ করতে পারবো।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগামী মাস থেকে ভারত থেকে আবার টিকা আসা শুরু করবে। আগামী বছরের প্রথম প্রান্তিকের মধ্যে ভারত থেকে সব টিকা চলে আসবে।’

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা পুনের প্ল্যান্টে উৎপাদন করে কোভিশিল্ড নামে বাজারজাত করছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিকা উৎপাদনকারী কোম্পানি সেরাম ইনস্টিটিউট। এ কোম্পানি থেকে তিন কোটি ডোজ টিকা কিনতে গত বছরের নভেম্বরে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি করে বাংলাদেশ। এরপর জানুয়ারিতে ৬০০ কোটি টাকার বেশি অগ্রিম হিসেবে দেয় সরকার, যা টিকার মোট দামের অর্ধেক।

ত্রিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী, ভারত থেকে ওই টিকা এনে বাংলাদেশে সরবরাহ করার দায়িত্ব বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের, তারা বাংলাদেশে সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিড টিকার একক পরিবেশক। আর সালমান এফ রহমান বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান।

চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ টিকা আসার কথা ছিল বাংলাদেশে। গত ২৫ জানুয়ারি প্রথম চালানে ৫০ লাখ ডোজ এবং ২৩ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় চালানে ২০ লাখ ডোজ টিকা দেশে আসে।

পাশাপাশি ভারত সরকারের উপহার হিসেবে ২১ জানুয়ারি আরও ২০ লাখ ডোজ এবং ২৬ মার্চ ১২ লাখ ডোজ কোভিশিল্ড পায় বাংলাদেশ। কিন্তু মার্চে ভারতে করোনাভাইরাস মহামারী চরম আকার ধারণ করলে সে দেশের সরকার এপ্রিলে টিকা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়।

এদিকে, পর্যাপ্ত টিকা না থাকায় ২৫ এপ্রিল দেশে প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ করে দিতে হয়। এক পর্যায়ে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়াও বন্ধ হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত চীন থেকে সিনোফার্মের টিকা কেনার জন্য সরকার চুক্তি করে। সেই টিকার পাশাপাশি টিকার আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্স থেকেও টিকা আসছে এখন। সেই টিকা দিয়েই এখন আবার সারা দেশে টিকাদান কর্মসূচি চলছে।

মিট দ্য রিপোর্টার্সে সভাপতিত্ব করেন ডিআরইউর সভাপতি মুরসালিন নোমানী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

ফেসবুকে আমরা