এদিন, শেষ ৩ বলে পাকিস্তানের দরকার ছিল ৮ রান। ম্যাচ যেন বাংলাদেশের দিকে ঝুঁকে পড়েছিল অনেকটাই। কারণ, উইকেটের দুই প্রান্তেই তখন দুই নতুন ব্যাটসম্যান। কিন্তু চতুর্থ বলে ইফতেখার আহমেদ স্টেট ড্রাইভে ছক্কা হাঁকান। তখনো রোমাঞ্চ ছিল বাকি। কারণ, পরের বলেই ইফতেখারকে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ তুলে দিতে বাধ্য করেন মাহমুদুল্লাহ। ৪ বলের মধ্যে ৩ উইকেট নেই। আর তিনটিই ক্যাচ। এবার আর ক্যাচ ধরতে ভুল করেননি বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। এরপর শেষ বলের সেই মহানাটক!
ব্যাটিংয়ে তখন মোহাম্মদ নওয়াজ। মাহমুদুল্লাহ বল করে ফেললেও, শেষ মুহূর্তে বল ছেড়ে দেন নওয়াজ। সেই বলে বোল্ড আউট হয়েছিলেন বাঁ-হাতি এই ব্যাটার। যদিও নওয়াজ বল ছেড়ে দেওয়ায় সেটি ডেড বল দেন আম্পায়ার তানভির আহমেদ। ম্যাচ শেষে অবশ্য পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) টুইটারে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় বিষয়টি খোলাসা করেছেন নওয়াজ।
খানিকটা বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং করতে গিয়ে উইকেটের বেশ খানিকটা পেছন থেকে বল ছাড়েন মাহমুদুল্লাহ। তবে মোহাম্মদ নওয়াজ বলটি ছেড়ে দেওয়ায় বলটিকে বাতিল বলে ঘোষণা করে দেন আম্পায়ার। অথচ, টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, রিয়াদের বল ছোড়ার মুহূর্তেও তা মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত ছিলেন নওয়াজ। তাই ম্যাচ শেষে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ তার স্পোর্টসম্যানশিপের জন্য প্রশংসা পেলেও সমালোচনার মুখোমুখি হয় পাকিস্তানের এই ব্যাটার।
ম্যাচ শেষে অবশ্য বল ছেড়ে দেওয়ার কারণ ব্যাখা করেছেন মোহাম্মদ নওয়াজ। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে আপলোড হওয়া এক ভিডিওতে তাকে বলতে দেখা যায়, ‘আমি আসলে তখন নিচের দিকে তাকিয়ে গার্ড নিচ্ছিলাম। সে (মাহমুদুল্লাহ) বল ছুড়ে দেওয়ার পরই আমি ওপরে তাকিয়েছি। এ জন্য আমি ছেড়ে দিয়েছি।’
গুরুত্বপূর্ণ সেই বল খেলার আগের নিজের পরিকল্পনা নিয়েও জানিয়েছেন নওয়াজ, ‘শেষ বল খেলার আগে অপর প্রান্তের ব্যাটারের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। সে চাচ্ছিল যাতে এক রান নিয়ে আগে ম্যাচ ড্র করি। তবে আমি খালি জায়গায় খেলে ম্যাচটা জেতাতেই চাচ্ছিলাম।’