খবরে বলা হয়, ঘরে ও অফিসে ১৫ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে অভিযান চালানোর পর খুররমকে সন্ত্রাস দমন আইনে গ্রেফতার করা হয়েছে।
খুররম পারভেজ দীর্ঘ সময় ধরে ভারতের ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সরকারের কার্যক্রমের সমালোচনা করে আসছেন। তার সংস্থা জম্মু-কাশ্মীর কোয়ালিশন অব সিভিল সার্ভিস সোসাইটি (জেকেসিসিএস) ভারতশাসিত কাশ্মীর উপত্যকায় ভারতীয় প্রশাসনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বহু ঘটনা সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
খুররম পারভেজের স্ত্রী সামিনা মীর বলেন, তারা খুররমের ফোন, ল্যাপটপ, আমার ফোন ও কিছু বই জব্দ করে নিয়ে গেছে। আমাদের দুই সন্তান এখনও ট্রমার মধ্যে রয়েছে। আমরা ঘুমের মধ্যে ছিলাম যখন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালাতে আসে।
মীর আরও বলেন, শ্রীনগরে খুররমকে সোমবার সন্ধ্যায় এনআইএ কার্যালয়ে নেওয়ার পর ৬টার দিকে বেআইনি কার্যক্রম প্রতিরোধ আইনে (ইউএপিএ) গ্রেফতার দেখানো হয়।
কী অভিযোগ খুররম পারভেজের বিরুদ্ধে?
খুররম পারভেজের বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যক্রম প্রতিরোধ আইনের অধীনে অভিযোগ আনা হয়েছে।
বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, তার পরিবারের কাছে দেওয়া গ্রেফতারি নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে ভারতীয় পেনাল কোডের ধারা ১২০বি (ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার দায়ে), এবং ধারা ১২১ (সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধের পরিকল্পনা) এর অধীনে অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে ইউএপিএর ধারা ১৭ (সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য অর্থ সংগ্রহ), ধারা ১৮বি (সন্ত্রাসী কার্যকলাপে যুক্ত থাকা) ও ধারা ৩৮ (সন্ত্রাসী সংগঠনে জড়িত থাকা)-এর অধীনে মামলা করা হবে। এরই মধ্যে তার বিরুদ্ধে ধারা ৪০ (সন্ত্রাসী সংস্থার জন্য অর্থ সংগ্রহ)-এর অধীনে একটি মামলা করা হয়েছে।
গত বছরের অক্টোবরেও এনআইএ খুররমের বাসা ও অফিসে তল্লাশি চালিয়েছিল।
২০১৬ সালে কাশ্মীরে বুরহান ওয়ানি মারা যাওয়ার পর সেখানে সহিংস পরিস্থিতি বিরাজ করার সময়ও গ্রেফতার হয়েছিলেন খুররম পারভেজ।
জেকেসিসিএসের সমন্বয়কের পাশাপাশি জোরপূর্বক গুমবিরোধী সংস্থা এশিয়ান ফেডারেশন অ্যাগেইনস্ট ইনভলান্টারি ডিজঅ্যাপিয়ারেন্স (এএফএডি), ফিলিপিন্সের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্বরত রয়েছেন খুররম। ২০০৬ সালে রিবক হিউম্যান রাইটস অ্যাওয়ার্ড পান তিনি।