গত ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। কিন্ত বিদ্রোহী প্রার্থীর কাছে সামান্য ভোটে তিনি পরাজিত হন।
এলাকাবাসী জানায়, আওয়ামী লীগের মনোনীত ১২ জনের মধ্যে দুইজন চেয়ারম্যান ইতিমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। পোড়াগাঁও ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা কৃষক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো.আজাদ মিয়া। গত ইউপি নির্বাচনে আজাদ মিয়া নৌকাকে হারিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হন। এ বছরও তিনি দল থেকে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে লড়ছেন। অন্যদিকে আরেক বিত্তশালী স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন মো. জামাল উদ্দিন। তিনি চশমা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন। তবে এই দুই বিত্তশালীর কাছে অসহায়ত্ব বোধ করছেন নৌকার প্রার্থী বন্দনা চাম্বু গং।
এ ব্যাপারে বন্ধনা চাম্বু বলেন, ১২ ইউপিতে আমি একমাত্র নারী চেয়ারম্যান প্রার্থী। গত নির্বাচনে দল আমাকে মনোনয়ন দিয়েছিল কিন্ত বিদ্রোহী প্রার্থীর কারচুপির কারণে সামান্য ভোটে পরাজিত হয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীদের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করেন বলেই পুনরায় আমাকে নৌকা দিয়েছেন। সব দিক বিবেচনা করে দল আমাকে যোগ্য মনে করেছেন। তবে ওই দুইজন বিত্তশালী হওয়ায় আমার খুব বেশী কষ্ট করতে হচ্ছে। আমি অসহায় বোধ করছি। ওদের মতো হয়তো আমার টাকা-পয়সা নাই, তবে জনগণের ভালোবাসা আছে। এই ভালোবাসাই আমাকে জয়ী করবে।
এদিকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন নন্নী ইউনিয়নে মো. বিল্লাল হোসেন চৌধুরী ও রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নে মো. আমান উল্লাহ বাদশা। এছাড়া রাজনগর ইউনিয়নে মুক্তিযোদ্ধা বিপ্লব কুমার বর্মণ, নয়াবিল ইউনিয়ন মো. নূর ইসলাম, কাকরকান্দি ইউনিয়নে মো. শহিদ উল্লাহ তালুকদার, নালিতাবাড়ী ইউনিয়নে মো. আসাদুজ্জামান, রূপনারায়নকুড়া ইউনিয়নে মো. মিজানুর রহমান, মরিচপুরান ইউনিয়নে খন্দকার মো. শফিকুল ইসলাম, যোগানিয়া ইউনিয়নে মো. আব্দুল লতিফ, বাঘবেড় ইউনিয়নে মো. আব্দুস সবুর ও কলসপাড় ইউনিয়ন থেকে মো. আবুল কাসেমকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।