বৃহস্পতিবার রাশিয়ার কেমেরোভো অঞ্চলের যে লিস্টভিয়াঝনিয়া কয়লাখনিতে দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেটি বেসরকারি সার্বিয়ান বিজনেস ইউনিয়নের এসডিএস হোল্ডিংয়ের মালিকানাধীন। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রায় অর্ধশতাধিক। যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
প্রাথমিক রিপোর্ট অনুাযায়ী, সাইবেরিয়ার ওই খনিতে কয়লার গুড়োয় আগুন ধরে যায়। ফলে সর্বত্র ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে। ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা ধোঁয়ায় কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। রাশিয়ার ডেপুটি প্রসিকিউটার জেনারেল জানিয়েছেন, মিথেন বিস্ফোরণ থেকে আগুন লাগে।
সরকারিভাবে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ সাইবেরিয়ার এই খনি থেকে ২৩৯ জন শ্রমিককে উপরে নিয়ে আসা সম্ভব হয়।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই দুর্ঘটনাকে ‘গ্রেট ট্র্যাজেডি’ উল্লেখ করে বলেন, ‘এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক, আমরা আশা করছি, উদ্ধারকারীরা মানুষের জীবন বাঁচাতে যতটা সম্ভব চেষ্টা করবেন।’
বৃহস্পতিবার খনিতে নেমে উদ্ধারকাজ চালাবার সময় অক্সিজেনের অভাবে ছয়জন উদ্ধারকারী মারা যায়। পরে উদ্ধারকারীদের খনির ভিতর থেকে উপরে নিয়ে আসা হয়। কারণ, কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা খনিতে আরো বিস্ফোরণ হতে পারে। একটি উদ্ধারকারী দল আর উপরে উঠে আসতে পারেনি।
ইন্টারফ্যাক্সকে সূত্র জানিয়েছে, পরে তাদের মৃতদেহ উপরে আনা হয়। তখন দেখা যায়, তাদের অক্সিজেন সিলিন্ডার পুরো খালি ছিল।
খনিতে আরো মিথেন গ্যাস জমা হচ্ছে। তাই শুক্রবার পর্যন্ত উদ্ধারকাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে খনির ডিরেক্টর, তার ডেপুটি এবং সাইট ম্যানেজারকে আটক করা হয়েছে। একটি ফৌজদারি মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
রাশিয়ায় প্রায়ই খনিতে দুর্ঘটনা হয়। কারণ, খনিগুলিতে সুরক্ষা ব্যবস্থা ভালো নয়। ২০১০ সালে সাইবেরিয়াতেই একটি কয়লাখনিতে দুর্ঘটনায় মারা গেছিলেন ৯১ জন। আহত হন একশর বেশি মানুষ। সেটাই রাশিয়ার সব চেয়ে বড় খনি দুর্ঘটনা।