গত ১৪ নভেম্বর রাতে অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে তিনি নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় ১৮ নভেম্বর নিখোঁজ আনিসুরের স্ত্রী ফাতিহা ইয়াসমিন বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করেছেন। কিন্তু এরপর ১২ দিনেও কোনো সন্ধান মেলেনি আনিসুরের।
জিডির তদন্ত কর্মকর্তা ও উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই বদরুল মিল্লাদ বলেন, নিখোঁজ সংক্রান্ত অভিযোগের পর আমরা তদন্ত করে আনিসুর রহমানের ব্যবহৃত মোবাইলটি উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টর থেকে উদ্ধার করেছি। যার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়, তিনি জানান ফোনটি বিক্রি করে দেয়া হয়েছিল। নিখোঁজের সন্ধানে আমাদের তদন্ত চলছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিখোঁজের পর আনিসুরের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে সর্বশেষ অবস্থান উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টর পাওয়া যায়। এরপর তার মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে পরদিন মোবাইলটি উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টরে এক ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
নিখোঁজের স্ত্রী ফাতিহা ইয়াসমিন সাংবাদিকদের বলেন, ১২ দিন হয়েছে আমার স্বামী নিখোঁজ। পুলিশ এখনও তার কোনো সন্ধান দিতে পারেনি। কি কারণে তিনি নিখোঁজ হয়েছেন সেটিও জানা যায়নি। পুলিশের কাছে জানতে চাইলে তারা শুধু ‘তদন্ত চলছে’ বলে জানায়। বাসায় আমার দশ মাস বয়সী একটি ছেলে রয়েছে। আমরা কীভাবে দিন পার করছি বোঝাতে পারবো না।
তিনি আরও বলেন, আমার জানামতে তার (আনিসুর) কোনো শত্রæ নেই। কারো সঙ্গে কোনো বিরোধ ছিল না।
আনিসুরের নিখোঁজ সংক্রান্ত জিডিতে বলা হয়েছে, গত ১৪ নভেম্বর সকাল ৮টার দিকে তুরাগ থানাধীন ১২/৯ জি বাউনিয়া এলাকার বাসা থেকে অফিসের উদ্দেশ্যে বের হন আনিসুর। অফিস শেষে বিকাল ৫টার দিকে উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরের বাড়িতে যান তিনি। সেখানে বন্ধু আজাদের সঙ্গে তার দেখা হয়। সেখান থেকে ওইদিন রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন আনিসুর। কিন্তু তিনি বাসায় ফেরেননি। তার ব্যবহৃত মোবাইলটিও বন্ধ পাওয়া যায়।